মংলা-ঘাষিয়াখালী চ্যানেল সব সময় চালু রাখা হবে

খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুস সামাদ বলেন, মংলা-ঘাষিয়াখালী নৌ-চ্যানেলে ১২টি ড্রেজারের মাধ্যমে সংরক্ষণ খননকাজ চলছে। চলমান খননের পরও কোথাও কোথাও নতুন করে পলি পড়ছে, সেগুলো অপসারণ করা হচ্ছে। এখন চ্যানেলের সংযোগকারী খালগুলোর প্রশস্ত ও গভীরতা বৃদ্ধির কাজ চলছে। এতে জোয়ার-ভাটার পানি চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়লে মংলা-ঘাষিয়াখালী চ্যানেলে পলি কম পড়বে। মংলা-ঘাষিয়াখালী নদী ও এর সংযোগকারী খাল খনন করে এ চ্যানেলটি সব সময়ের জন্য চালু রাখা হবে এবং এটি চালু থাকবে। খননের মধ্য দিয়েও এখন প্রতিনিয়ত জোয়ার ও ভাটার সময় এ চ্যানেল দিয়ে অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক নৌযান (ভারতগামী) চলাচল করছে।
মংলা-ঘাষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌরুটের চলমান ‘সংরক্ষণ খনন প্রকল্প’ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক শেষে আজ সোমবার এসব কথা বলেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার। দুপুরে মংলার ফুয়েল জেটিসংলগ্ন বন বিভাগের রেস্টহাউসে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে খুলনা পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মল্লিক আনোয়ার হোসেন, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর আলম, বিআইডব্লিউটিএর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. ফরহাদ উজ্জামান, মংলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আলী প্রিন্স, মংলা উপজেলার চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, রামপাল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব কুমার রায় ও পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সাইদুল ইসলাম।