পঞ্চগড়ে মাদক রাখায় সাত বছর কারাদণ্ড
পঞ্চগড়ে মাদক রাখার দায়ে আবদুল জলিল (২৭) নামের এক ব্যবসায়ীকে সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ ও এক হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার বিকেলে পঞ্চগড়ের জ্যেষ্ঠ জেলা জজ ও স্পেশাল ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারক এম এ নুর এই রায় দেন।
দণ্ড পাওয়া আবদুল জলিলের বাড়ি সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের যতনপুকুরী এলাকায়।
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৩ নভেম্বর রাতে সদর উপজেলার গড়িনাবাড়ী ইউনিয়নের মীরগড় সীমান্ত ফাঁড়ির ৪২১ নম্বর পিলার এলাকায় বিজিবির সিপাহি দেলোয়ার হোসেন ও আব্দুস সালাম টহল দিচ্ছিলেন। এ সময় আবদুল জলিল ওই এলাকা দিয়ে বাইসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। তাঁর শরীর তল্লাশি করে প্যান্ট থেকে ২১টি নেশা জাতীয় ভারতীয় ইনজেকশনসহ আটক করে পঞ্চগড় সদর থানায় সোপর্দ করেন।
ওই দিন মীরগড় বিজিবি বিওপির হাবিলদার মোজাম্মেল হক বাদী হয়ে আবদুল জলিলের বিরুদ্ধে পঞ্চগড় থানায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ (খ) ধারায় একটি মামলা করেন।
মামলটি তদন্ত করে পঞ্চগড় সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আরিফুল ইসলাম ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ সোমবার জ্যেষ্ঠ জেলা জজ ও স্পেশাল ট্রাইবুনাল-১-এর বিচারক এম এ নুর অভিযুক্ত আবদুল জলিলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তাঁকে সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ ও এক হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন।
মামলাটি রাষ্ট্রপক্ষে পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আমিনুর রহমান।