কাল হরতাল নেই, বিক্ষোভ করবে ২০ দল
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদসহ ২০-দলীয় জোটের ‘গুম হয়ে যাওয়া’ নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে ফেরত দেওয়া এবং নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থার অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে চলমান অবরোধের পাশাপাশি আগামীকাল রোববার সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় ২০-দলীয় জোটের পক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলুর সই করা বিবৃতিতে এবার হরতালের কর্মসূচি নেই।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘একদিকে আগামী ২৮ এপ্রিল ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনসহ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন, অন্যদিকে বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অযাচিত বাড়াবাড়ি গোটা নির্বাচনী পরিবেশকে প্রশ্নবিদ্ধ, কলুষিত ও আতঙ্কিত করে তুলেছে। সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচনসহ স্থানীয় যেকোনো নির্বাচনের ক্ষেত্রে সরকার নির্বাচন কমিশনের যেকোনো পরামর্শ ও নির্দেশনা মানবে এটাই বিধান। কিন্তু ‘ইসির নির্দেশ মানতে সংসদ সচিবালয় বাধ্য নয়’ মর্মে ইসিতে প্রেরিত চিঠি একদিকে যেমন নির্বাচন কমিশনকে বিস্মিত করেছে; অন্যদিকে সমগ্র দেশবাসীও হতাশ হয়েছে। সংসদ সচিবালয় কর্তৃক নির্বাচন কমিশনের প্রতি এহেন অসহযোগিতামূলক আচরণ নিঃসন্দেহে নির্বাচন কমিশনকে অবজ্ঞা করারই শামিল।’
বিবৃতিতে বুলু বলেছেন, ‘নির্বাচনী মাঠে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক সরকার সমর্থিত প্রার্থী ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নিয়ে ক্রমাগত বিমাতাসুলভ আচরণ নির্বাচনী পরিবেশকে আরো বেশি মাত্রায় সন্দেহপ্রবণ, কণ্টকাকীর্ণ ও দুষণীয় করে তুলেছে। সারা দেশে বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চলছে; এতে করে বিরোধী প্রার্থী ও তাঁদের কর্মী সমর্থকদের জান বাঁচানোই দায় হয়ে পড়েছে, তা ছাড়া তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঢাকা ও চট্টগ্রামে বিরোধী নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের ভিন্ন মাত্রা অবলম্বন নির্বাচনে একপক্ষকে বিজয়ী করার কৌশল হিসেবেই দেখছে দেশের সুশীলসমাজসহ সর্বস্তরের মানুষ। ৫ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনে প্রহসনের খেলা খেলে নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগকে যেভাবে সহায়তা করে নিজেদের স্বাধীন সত্তার প্রশ্নে বিশ্ববাসীর কাছে হেয় ও দেউলিয়া প্রমাণ করেছিল, ঠিক সেভাবে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এবারও তার পুনরাবৃত্তি ঘটালে নির্বাচন কমিশন নামক প্রতিষ্ঠানটি পুনরায় জাতির নিকট কালিমাযুক্ত ও আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীর আজ্ঞাবহ যন্ত্রের স্বীকৃতি পাবে।’
অতীত ভুল ও পক্ষাবলম্বনের অপবাদ থেকে পুরোপুরি মুক্ত হয়ে নির্বাচন কমিশন তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে অবাধ করতে পক্ষপাতমুক্ত হয়ে কাজ করবে বলে বিবৃতিতে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।
সেই সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেপ্তারি অভিযানের নামে তল্লাশির তাণ্ডব বন্ধ করে আসন্ন তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমূখর করার জোর দাবি জানানো হয় ২০-দলীয় জোটের পক্ষ থেকে।