নিভৃতচারী শিক্ষককে শেষ বিদায়
জানাজা শেষে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে শেষ নিদ্রায় শায়িত হলেন বরেণ্য শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান মিঞা।
আজ মঙ্গলবার বাবার কবরে দাফন করা হয় এ শিক্ষাবিদকে। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই শিক্ষানুরাগীর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান তাঁর ছাত্র, সহকর্মী, বন্ধু ও স্বজনরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সামনে খোলা মাঠে অনুষ্ঠিত হয় মনিরুজ্জামানের মিঞার প্রথম জানাজা। এ বিভাগেরই অধ্যাপক ছিলেন তিনি। শ্রদ্ধেয় শিক্ষকের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান তাঁর শিক্ষার্থী ও সহকর্মীরা।urgentPhoto
জানাজায় আসা নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘তাঁর গবেষণা ছিল বিভিন্ন দিকে উল্লেখযোগ্য।’
অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘একাকিত্ব ও বিচ্ছিন্নতার মধ্যে যে পার্থক্য এটি আমরা মনিরুজ্জামান মিয়াকে দেখে বুঝতে পারতাম।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করেছেন। তাঁর লেখাপড়া, অধ্যাপনা, গবেষণা সবকিছুর মধ্যেই ছিল তাঁর দেশপ্রেম।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি ও বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান বলেন, ‘নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা যে গণতন্ত্র পেয়েছি সে গণতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য তিনি আমৃত্যু কাজ করেছেন।’
এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় জানাজা। জানাজায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্বাবিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকসহ শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ,আইনজীবী এবং সমাজের বিশিষ্টজনেরা। পরে মরহুমের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয় বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের পক্ষ থেকে।
মনিরুজ্জামান মিঞার মৃত্যুতে আজ মঙ্গলবার একদিনের ছুটি ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। গুলশান আজাদ মসজিদে তৃতীয় জানাযা শেষে বনানী কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।
একাকী নিভৃতচারী শিক্ষাবিদ ও গবেষক মনিরুজ্জামান মিঞা জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩৫ সালে। ১৯৯০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে যোগ দেন।