হরতালে বেলা বাড়ার সঙ্গে বাড়ছে যানবাহন
মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখার প্রতিবাদে জামায়াতে ইসলামীর ডাকে হরতাল চলছে। দুদিনের হরতালের প্রথম দিন সকালের দিকে রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়কে যানবাহন চলাচল কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে বাড়ছে যানবাহনের সংখ্যা। সড়কে ব্যক্তিগত যানবাহনের সংখ্যা কিছুটা কম।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর কাকরাইলে চার-পাঁচটি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আকস্মিকভাবেই কিছু লোক রাস্তায় যানবাহন ভাংচুর করে পালিয়ে যায়। এদের পরিচয় এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এদিকে, সকালে হরতালের সমর্থনে ঝটিকা মিছিল করেছে রমনা থানা জামায়াত। এর বাইরে রাজধানীর অন্য কোথাও হরতালের সমর্থনে কোনো মিছিল বা পিকেটিংয়ের খবর পাওয়া যায়নি। হরতালে দূরপাল্লার যানবাহন, ট্রেন ও লঞ্চ চলাচল রয়েছে অনেকটাই স্বাভাবিক।
রাজধানীর বিভিন্ন স্থান ঘুরে আমাদের প্রতিবেদকরা জানিয়েছেন, মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর, বিজয়সরণি, মহাখালী, ফার্মগেট, কাকলী, খামারবাড়ি, কারওয়ান বাজার, কাকরাইল, দৈনিক বাংলা মোড়সহ শহরের ব্যস্ততম মোড়গুলোতে অন্যান্য দিনের তুলনায় যানবাহন কম থাকলেও মাঝেমধ্যেই যানজটে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।
তিন মাস ধরে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট লাগাতার অবরোধের পাশাপাশি সপ্তাহের ছুটির দিনগুলো বাদ দিয়ে হরতালের ডাক দিয়ে আসছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে এর প্রভাব কমতে শুরু করে রাজধানীতে। অন্যান্য সাধারণ কর্মদিবসের মতোই হরতালের দিনগুলোতে যানজটে পড়তে থাকেন নগরবাসী। সে হিসেবে আজকের হরতাল কিছুটা অন্য রকম।
তবে যেহেতু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে যানবাহন ও যানজটের পরিমাণ, তাই বিকেল নাগাদ সড়কগুলোতে যানবাহনের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে নজরদারিতে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে বিজিবি।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ডের রিভিউ আবেদন খারিজ হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় গতকাল সোমবার এক বিবৃতির মাধ্যমে হরতালের ডাক দেয় দলটি।