হবিগঞ্জে মাছ কেনা নিয়ে দুই গ্রামের লোকজনের সংঘর্ষ
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার পুকড়া ইউনিয়নে মাছ কেনাকে কেন্দ্র করে দৌলতপুর ও রামগঞ্জ গ্রামের লোকজনের মধ্যে দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে।
এ সময় হবিগঞ্জ-নবীগঞ্জ সড়কে দুই ঘণ্টার মতো যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। সংঘর্ষ চলাকালে দুর্বৃত্তরা আলীগঞ্জ বাজারে ২০-২৫টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও লুটপাট করে। শুক্রবার বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষ হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের কয়েকজন জানান, শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় আলীগঞ্জ বাজারে মাছ কিনতে যান দৌলতপুর গ্রামের মুহিত মিয়া। এ সময় মাছ কেনা নিয়ে রামগঞ্জ গ্রামের তাহির মিয়ার সঙ্গে তাঁর বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মুহিত ও তাঁর লোকজন তাহির মিয়াকে মারপিট করেন। এ খবর তাহির মিয়ার গ্রাম রামগঞ্জে প্রচার হলে তাঁর গ্রামের লোকজন দৌলতপুরে হামলা চালান। দৌলতপুর গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে আলীগঞ্জ বাজারের বেশ কয়েকটি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। খবর পেয়ে বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অমূল্য কুমার চৌধুরীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে আহতরা হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে উভয় গ্রামের লোকজন আবারও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। খবর পেয়ে হবিগঞ্জ সদর থানার পুলিশ হাসপাতালে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বানিয়াচং থানার ওসি অমূল্য কুমার চৌধুরী সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
সংঘর্ষে টেটাবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হাফিজ মিয়া, অজিদ মিয়া, আক্তার মিয়া, খোকন মিয়াসহ ১০ জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।