নবীগঞ্জে নবনির্বাচিত ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে জখম
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় কুর্শি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নব নির্বাচিত সদস্য ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আল আমিন খানকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘটা সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ৩০ জন।
আজ রোববার কুর্শিতে এ ঘটনা ঘটে। আহত আল আমিনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কুর্শি ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে মেম্বার পদে জয়ী হন আল আমিন খান। তিনি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাবেক সদস্য সৈয়দ নজমুল হোসেন হারুনকে পরাজিত করেন।
অভিযোগ ওঠে, এতে হারুনের সমর্থকরা ক্ষিপ্ত হন। একাধিক ব্যক্তি জানান, বিএনপি নেতা হারুনের চাচাতো ভাই লন্ডন প্রবাসী রানা মিয়া চৌধুরী বিএনপিকে ভোট না দেওয়ায় জিলাদ মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে হুমকি দেন। বিষয়টি জিলাদ মিয়া নির্বাচিত সদস্য আল আমিনসহ একাধিক ব্যক্তিকে জানান। এতে রানা মিয়া আরো ক্ষিপ্ত হন। এরই জের ধরে সাবেক সদস্য হারুনের সঙ্গে বর্তমান সদস্য আল আমিনের বিরোধ প্রকাশ্যে রূপ নেয়।
রোববার সকাল ১১টার দিকে আল আমিন খান নবীগঞ্জে নিজের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়ার উদ্দেশে কুর্শি বাস স্ট্যান্ডে আসা মাত্রই হামলার শিকার হন আল আমিন। দুর্বৃত্তরা তাঁকে কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রানা চৌধুরীর নেতৃত্বে কয়েকজন লোক আল আমিন খানের ওপর হামলা করে। ঘটনার খবর পেয়ে আল আমিন খানের সমর্থকরা ঘটনাস্থলে এসে রানা চৌধুরীর লোকজনের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৩০ জন লোক আহত হয়। সংঘর্ষে বিএনপি নেতা হারুনের ভাই রানা চৌধুরীও আহত হন।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল বাতেন খানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
আহতদের কয়েকজনের নাম পাওয়া যায়। এঁরা হলেন, নজরুল খাঁন (৩৫), গোলেমান খাঁন (৫৫), সুলেমান খান (৫০), জাবরুল খান (২৫), ইমরান খান (২৬), লিয়াকত খান (৩০), হেলাল খান (৩২), দুলাল খান (২৮), ইমন খান (২২), বকুল খান (৩০), মতি চৌধুরী (৫০) ও মহশিন চৌধুরী (৪৮), সবুর মিয়া (৪০), শহিদ উল্লাহ (৭০), কছির মিয়া (৬০)। এদের মধ্যে আটজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ওসি আব্দুল বাতেন খান জানিয়েছেন, ঘটনায় এখন পর্যন্ত নবীগঞ্জ থানায় কোনো মামলা করা হয়নি।