বৃষ্টি মাথায় নিয়ে শিমুলিয়াঘাটে ঘরমুখো মানুষের ঢল
ঈদের ছুটিতে আজ মঙ্গলবারও মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়াঘাটে ঘরে ফেরা মানুষের ঢল নেমেছে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করেই দেশের দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার শিমুলিয়া-কাওরাকান্দি নৌরুটে ভিড় করেছেন যাত্রীরা। ফেরি, সি-বোট বা লঞ্চ কিছুতেই যেন তিল ধারণের জায়গা নেই।
ঈদ উপলক্ষে যাত্রীসহ যানবাহন পারাপার করছে ১৮টি ফেরি। শিমুলিয়া ও কাওরাকান্দির উভয় ঘাটে রয়েছে পাঁচ শতাধিক সি-বোট। ছোট-বড় মিলিয়ে লঞ্চ রয়েছে ৮৪টি।
দিনের শুরুতে আজ সকালে শিমুলিয়াঘাটে গিয়ে ঘরমুখো যাত্রীদের বেশ ভিড় দেখা যায়। সকাল ৯টার দিকে শিমুলিয়াঘাট ও এর আশপাশে যাত্রীবোঝাই ৪০টি বাস, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, জিপ ও মিনি পিকআপভ্যান মিলিয়ে পারাপারের অপেক্ষায় ছিল পাঁচ শতাধিক যানবাহন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) আবদুল আলীম জানান, পদ্মায় প্রবল স্রোতের কবলে ফেরিগুলোকে গন্তব্যে পৌঁছাতে প্রায় আধা ঘণ্টা বেশি সময় লাগছে। তবে এবার ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের পদ্মা পারাপারে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না। নিয়ম অনুযায়ী ফেরি পারাপার করলে সবাই বাড়ি যেতে পারবেন।
আবদুল আলীম আরো জানান, এবার ঈদে তিনটি ফেরি যুক্ত হয়ে নৌরুটে মোট ১৮টি ফেরিতে যানবাহন পারাপার করছে। একটি ভিআইপি ফেরি রয়েছে। আজ সকাল থেকে ছোট-বড় ৮০০ গাড়ি পার হয়েছে।
পদ্মা পাড়ি দিতে লঞ্চ ও সি-বোটে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করার চিত্র দেখা গেছে দক্ষিণাঞ্চলের নৌরুটে। যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের মাধ্যমে সি-বোটে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মাওয়া ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মোশারফ হোসেন জানান, ঈদে যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রায় নিরাপত্তা চাদরে ঢাকা রয়েছে শিমুলিয়া-কাওরাকান্দি নৌরুট। পদ্মায় পাহারা দিচ্ছে নৌ-পুলিশ। নৌরুটে এবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৫০০ সদস্য ঈদযাত্রায় নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বলে জানা নেই। কেউ অভিযোগ করেনি।