৪৪ বছর পর বিধবারা ন্যায্যবিচার পেলেন : জয়
মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর হওয়ার মধ্য দিয়ে ৪৪ বছর পর শেরপুরের বিধবারা ন্যায্যবিচার পেয়েছেন।
আজ রোববার ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তাঁর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বলেন, ‘আজ আমাদের আওয়ামী লীগ সরকার আরো একজন দুর্ধর্ষ যুদ্ধাপরাধী মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল। ১৯৭১ সালের ২৫ জুলাই সোহাগপুর গ্রামে ১২০ জন মানুষকে গণহত্যা ও ধর্ষণের দায়ে মাননীয় আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন।’
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, “সেই ভয়াবহ গণহত্যার পর সোহাগপুরের পরিচয় হয়ে ওঠে ‘বিধবাপল্লী’ নামে। সে গ্রামেরই তিনজন বিধবা তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দেন। রায় পুনর্বিবেচনার পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করলে মাননীয় আদালত কামারুজ্জামানের যুদ্ধাপরাধকে নাৎসি বাহিনীর চেয়েও ভয়াবহ বলে রায়ে উল্লেখ করেন।” এ সময় তিনি বলেন, ‘আজ ৪৪ বছর পর সোহাগপুরে বিধবারা ন্যায্যবিচার পেলেন। আন্তর্জাতিক মহলে বিএনপি-জামায়াতের ব্যাপক তদবির সত্ত্বেও কেবল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের দৃঢ়তা আর সাহসী অবস্থানের কারণে বিচার পেয়েছে বাংলাদেশের জনগণ। জয় বাংলা ! জয় বঙ্গবন্ধু!’
মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে গতকাল শনিবার রাতে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
আইজি প্রিজন সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তাঁরা জানান, ১২ জন সশস্ত্র কারারক্ষী, ইমাম, ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন, জেল সুপার ও জেলারের উপস্থিতিতে ফাঁসি কার্যকর করেন জল্লাদ রাজু। এর আগে রাত ১০টা ২৫ মিনিটে জল্লাদের কাছে হস্তান্তর করা হয় কামারুজ্জামানকে। এ সময় তাঁকে জমটুপি পরানো হয়।