ভাষাসৈনিক মীর শহীদ মণ্ডল আর নেই
জয়পুরহাটের ভাষাসৈনিক, আওয়ামী লীগ নেতা মীর শহীদ মণ্ডল আর নেই।
আজ রোববার বিকেল সাড়ে ৪টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মীর শহীদ মণ্ডল শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না লিল্লাহি... রাজিউন)। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, তিন মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
সপ্তাহখানেক আগে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মীর শহীদ মণ্ডল অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে প্রথমে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে সিএমএইচে ভর্তি করানো হয়।
মরহুমের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আগামীকাল সোমবার সকাল ১০টায় সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মীর শহীদ মণ্ডলের মরদেহ জয়পুরহাট শহরের শহীদ ডা. আবুল কাশেম ময়দানের শহীদ মিনার পাদদেশে রাখা হবে। সেখান থেকে বেলা ১১টায় তাঁর মরদেহ জয়পুরহাট কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে নেওয়া হবে। সেখানে তাঁর প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এরপর মীর শহীদ মণ্ডলের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে পাঁচবিবি উপজেলা সদরের লালবিহারী (এলবি) পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাঁর মরদেহ নিজ গ্রাম উপজেলার খাসবাগুড়িতে নেওয়া হবে। নিজ গ্রামে তৃতীয় ও শেষ জানাজা শেষে তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
মীর শহীদ মণ্ডল প্রথমে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ-মোজাফ্ফর) রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। ওই সময় তিনি ব্যাপকভাবে গ্রামাঞ্চলে কৃষকদের সংগঠিত করেন। এ সময় তিনি ‘কৃষকনেতা’ হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগ দেন।
মীর শহীদ মণ্ডলের মৃত্যুতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সংসদ সদস্য আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সামছুল আলম দুদু, জয়পুরহাট জেলা পরিষদের প্রশাসক ও সাধারণ সম্পাদক এস এম সোলায়মান আলী, জয়পুরহাট পৌরসভার মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক মেয়র আবদুল আজিজ মোল্লা প্রমুখ গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।