কিশোরগঞ্জের সাবেক এমপি এম এ মান্নানের ইন্তেকাল
কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদি-পাকুন্দিয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি), আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রখ্যাত চিকিৎসক ডা. মো. আবদুল মান্নান (৯২) আর নেই। আজ শনিবার দুপুর ২টার দিকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
আবদুল মান্নান দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন অসুখে ভুগছিলেন। আজ সকালে অবস্থার অবনতি ঘটলে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
আওয়ামী লীগের কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ আফজল এবং কটিয়াদি প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুস সালেহিন রাহাত আবদুল মান্নানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিউরো মেডিসিনে দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এই চিকিৎসক ভাষা আন্দোলনে ভূমিকার জন্য ২০১৫ সালে একুশে পদক লাভ করেন। ডা. মো. আবদুল মান্নান ২০০১ ও ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের জনক। তাঁর জ্যেষ্ঠ ছেলে মসউদ মান্নান বর্তমানে উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত। দ্বিতীয় ছেলে ডা. মাজহার মান্নান বাংলাদেশ সরকারের অটিজম বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটির সাধারণ সম্পাদক। একমাত্র কন্যা অধ্যাপক জেবা মান্নান কটিয়াদি সদরে ডা. আবদুল মান্নান মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত আছেন।
ছেলেমেয়েদের সবাই বর্তমানে বিদেশ অবস্থান করায় তাঁরা দেশে ফেরার পর আবদুল মান্নানের জানাজা ও দাফনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ডা. মো. আবদুল মান্নান কটিয়াদি উপজেলার মসুয়া ইউনিয়নের বৈরাগিরচর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ডা. আবদুল মান্নান মহিলা ডিগ্রি কলেজ, বশিরা মান্নান এতিমখানা ও আদমপুর আম্বরখানা এতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা। এ ছাড়া অনেক সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কিশোরগঞ্জ জেলার শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান শাহজাহান ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ আফজল।