‘জনগণের মুখোমুখি’ উত্তরের মেয়র প্রার্থীরা
নাগরিক চাহিদার অনেক কিছুই একজন মেয়রের পক্ষে পূরণ করা সম্ভব নয়। তার পরও সদিচ্ছা থাকলে অনেক কিছু করা সম্ভব বলে মনে করেন ঢাকা উত্তরের মেয়র প্রার্থীরা। আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর গুলশানে ইমানুয়েলস হলে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত ‘জনগণের মুখোমুখি’ অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তরের মেয়র প্রার্থীরা এ কথা বলেন।
দক্ষিণের মতো আজ উত্তরের প্রার্থীদের নিয়ে ‘জনগণের মুখোমুখি’ অনুষ্ঠান করল সুজন। নির্বাচিত হলে কী করবেন—এমন ১৩টি অঙ্গীকারনামায় সই করেন মেয়র প্রার্থীরা। জাতীয় পার্টি সমর্থিত প্রার্থী ছাড়া সবাই এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন। নিজের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরার পাশাপাশি ভোটারদের সরাসরি প্রশ্নের উত্তর দেন সব প্রার্থী।
এখন যে ইনভেস্ট (খরচ বা ব্যয়) করছেন, তা কীভাবে ওঠাবেন? একজন দর্শকের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আনিসুল হক বলেন, ‘টাকার ইনভেস্টমেন্ট প্রত্যেকেই করবে, অতটুকু টাকা ইনভেস্ট করার শক্তি আমার আছে। আমাকে যদি ঢাকাবাসী ভোট দেন, আমার দায়িত্ব হবে তাঁদের জন্য আমার নিজের সময় ছেড়ে দিয়ে কিছু করা।’
বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী তাবিথ আউয়াল জানান, নিরাপত্তা বাহিনী সিটি করপোরেশনের আওতাধীন না থাকলেও নির্বাচিত হলে তিনি অপরাধ দমনে ওয়ার্ডভিত্তিক পুলিশ ম্যাপিং করবেন।
তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘জনগণের সঙ্গে আমাদের সরকারের দূরত্ব তৈরি হয়েছে। যে প্রত্যাশা জনগণ চাইছে বা দিচ্ছে, এর অনেকাংশ একজন মেয়রের আইনি ক্ষমতার বাইরে। এর মানে এই নয় যে, একজন মেয়র পাশে থাকতে পারবেন না।’
অন্য প্রার্থীরাও পূর্ণ সেবা দিতে নগর সরকার প্রতিষ্ঠার কথা বলেন; নিরাপদ ঢাকা গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। নাদের চৌধুরী বলেন, ঢাকার এক অংশে ট্রাফিক সিস্টেম ভালো করা হলো, কিন্তু অপর অংশ থেকে গাড়ি এসে ভরে গেল। সুতরাং যে করেই হোক, ঢাকা শহরকে অবিভক্ত রাখতে হবে।
মাহী বি চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচনী ব্যয়ের যে পরিধি দেওয়া হয়েছে, তার বাইরে যাঁরা কোটি কোটি টাকা খরচ করছে, অবশ্যই তাঁদের নিয়ত খারাপ আছে। এটি জনগণকে মনে রাখতে হবে।’
আবদুল্লাহ আল ক্বাফী বলেন, তিনি নির্বাচিত হলে স্বাধীন ন্যায়পাল নিযুক্ত করবেন, যিনি মেয়রের কর্মকাণ্ড তদারক করবেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, জনগণ যেসব সমস্যার সমাধান আশা করেন, সেসবের অধিকাংশই মেয়রের ক্ষমতার পরিধির মধ্যে বাস্তবায়ন করতে পারবেন কি না, এটি প্রশ্নসাপেক্ষ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ভোটাররা সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার শপথ নেন।