শিশু সাগর হত্যা : তিন কিশোর গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জোবেদা টেক্সটাইল অ্যান্ড স্পিনিং মিলে পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে শিশু শ্রমিক সাগর বর্মণ হত্যায় জড়িত সন্দেহে তিন কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে রূপগঞ্জের মুড়াপাড়া থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে দুপুরে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে বিস্তারিত তুলে ধরেন পুলিশ সুপার ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন।
গ্রেপ্তারকৃত তিন কিশোর হল রাকিব, সোহেল ও আকাশ।
এ সময় পুলিশ সুপার দাবি করেন, কারখানার শ্রমিক রাকিব, সোহেল ও আকাশ এ হত্যাকাণ্ডে সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনজন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নিজেদের জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে।
পুলিশ সুপার আরো জানান, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, কাজ করার সময় বাগবিতণ্ডাকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে। পূর্ব পরিকল্পিত বা গভীর কোনো ষড়যন্ত্রের কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে না। গ্রেপ্তার তিন কিশোরের বয়স ১২-১৩ বছর।
কারখানায় শিশু শ্রমিক নিয়োগের বিষয়ে আইএলও কনভেনশন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছে পুলিশ।
হত্যার ঘটনার পর থেকে শিশু শ্রমিক সাগর বর্মণ হত্যার এজাহারভুক্ত আসামি কারখানার প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাজমুল হুদা, মিলের জ্যেষ্ঠ উৎপাদন কর্মকর্তা সৈয়দ আজাহার ইমাম সোহেল ও সোহাগ হোসেন হৃদয়কে সাতদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
গত ২৪ জুলাই রোববার দুপুরে উপজেলার যাত্রামুড়া এলাকায় অবস্থিত জোবেদা টেক্সটাইল অ্যান্ড স্পিনিং মিলে পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে শিশু শ্রমিক সাগর বর্মণকে হত্যা করা হয়। রাতেই পুলিশ গ্রেপ্তার করে মিলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাজমুল হুদাকে। পুলিশ তাঁকে আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
এর পর মঙ্গলবার সকালে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) রূপগঞ্জ থানার যাত্রামুড়া এলাকা থেকে এ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি কারখানার জ্যেষ্ঠ উৎপাদন কর্মকর্তা সৈয়দ আজাহার ইমাম সোহেলকে গ্রেপ্তার করে।
একইদিন পুলিশ দিঘী বরাব এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে লাইনম্যান সোহাগ হোসেন হৃদয়কে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ তাদের বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।