ধামরাইয়ে একই পরিবারের ছয়জনসহ নিহত ৭
ঢাকার ধামরাই উপজেলার বারবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যাত্রীবাহী দুটি বাসের চাপায় একটি প্রাইভেটকারে থাকা সাতজন নিহত হয়েছেন। এঁদের মধ্যে একই পরিবারের ছয়জন রয়েছেন।
আজ শনিবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো এক শিশু।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার আটিগ্রাম এলাকার মনোয়ার হোসেন (৪৮), তাঁর স্ত্রী ফরিদা বেগম (২৫), মেয়ে তোয়া আক্তার (৫) ও ছেলে মেশকাত হোসেন (২), নাতি তোশাব (৪), মনোয়ারের বড় ভাই মনির হোসেনের স্ত্রী দিলারা বেগম (৩৮), মনিরের মেয়ের ঘরের নাতনি সামিয়া আক্তার (৫) এবং প্রাইভেটকারচালক ফারুক হোসেন (৩২)।
দুর্ঘটনায় মনির হোসেন (৪৮) ও তাঁর মেয়ে অংকিতা আক্তার (৪) গুরুতর আহত হয়ে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মানিকগঞ্জের গোলরা হাইওয়ে পুলিশফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) এনামুল হক বলেন, বারবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দুপুর সোয়া ২টার দিকে মানিকগঞ্জগামী প্রাইভেটকারটিকে প্রথমে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় সোহাগ পরিবহনের একটি বাস। পরে বিপরীত দিক থেকে আশা পরিবহনের আরেকটি মিনিবাস এটিকে ধাক্কা দেয়। ওই সময় দুই বাসের চাপায় পড়ে দুমড়েমুচড়ে যায় প্রাইভেটকারটি। এতে ঘটনাস্থলেই চারজন নিহত হন। তাঁদের লাশ পুলিশ গোলারা ফাঁড়িতে রেখেছে।
এনামুল হক আরো জানান, দুর্ঘটনার পর চারজনকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। বাস দুটিকে আটক করা হলেও চালক ও সহকারীরা পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
নিহতের স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, মনির ও মনোয়ার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঢাকার মিরপুর এবং সাভারের হেমায়েতপুর এলাকায় থাকেন। চাচাতো ভাইয়ের ছেলের বিয়েতে তাঁরা দুই ভাই স্ত্রী-সন্তান, নাতনি ও চালকসহ নয়জন একটি প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো প ০৩-৪৩৬৫) নিয়ে গ্রামের বাড়ি আটিগ্রাম যাচ্ছিলেন।