আলোর পথে বিলুপ্ত ছিটবাসী
পঞ্চগড় জেলার অভ্যন্তরে থাকা ছিটমহলগুলোতে ছিল না মৌলিক অধিকার, রাজনৈতিক ও সামাজিক অধিকার। দীর্ঘ ৬৮ বছর শিক্ষা, চিকিৎসা, বিদ্যুৎ, পয়োনিষ্কাশন, টিউবওয়েল, রাস্তাঘাট, যানবাহনসহ নানা সমস্যার আবর্তে ‘না ঘরকা না ঘাটকা’ হয়ে জেলার ৩৬টি ছিটমহলের হাজার মানুষ জীবনযাপন করে আসছিল।
অবরুদ্ধ ছিটমহলের চারদিকে বাংলাদেশ মাঝখানে ভিন্ন দেশ। যে দেশে ছিল না কোনো রাজা, ছিল না কারো রাজত্ব। কোনো আইন ছিল না, শাসন ছিল না। আধুনিকতার কোনো ছোঁয়া ছিল না। শিক্ষা, চিকিৎসাসেবা ছিল শুধুই স্বপ্ন। ছিল না কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখানকার শিশুরা পায়নি শিক্ষার কোনো আলো। ছিল না কোনো হাটবাজার। ছিল না কোনো চিকিৎসাকেন্দ্র, কোনো ওষুধের দোকান। রোগ, শোক, দুঃখ, দুর্দশার অন্তহীন এই আবাসভূমির নাম ছিটমহল। এখানকার মানুষের বেঁচে থাকা ছিল যেন আল্লাহ-ভগবানের দয়া। তাঁদের মনে জাগে অনেক স্বপ্ন।
অদ্ভুত জীবনযাপন ছিল ছিটমহলবাসীর। ছিল না কোনো রাস্তাঘাট। খাদ পারাপারে বাঁশের সাঁকো আর উঁচু-নিচু আলপথই এদের চলাচলের পথ। অন্ধকার স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে এদের ছিল বসবাস। এখানে ছিল না কোনো বিদ্যুৎ। বেশির ভাড় ছিটবাসীই বৈদ্যুতিক আলো কী, তা দেখেননি। সন্ধ্যার আগেই এরা ঘরে ফিরত। ভোর হলেই বের হতো ঘর থেকে। গরুর গাড়ি, সাইকেল, কোনো কোনো সময় রিকশাভ্যান ছিল এদের বাহন। ছিটমহলের বেশির ভাগ মানুষই দেখেননি দ্রুতগামী মোটরগাড়ি, দালানকোঠা এবং আধুনিক সভ্যতার অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা। স্বাস্থ্য সচেতনতার কোনো বালাই ছিল না। স্যানিটেশন মানে তারা বুঝত না। বিশুদ্ধ পানির ছিল না কোনো ব্যবস্থা। যত্রতত্র মলত্যাগ, পানিবাহিত রোগ আর পুষ্টিহীনতা এদের নিত্যসঙ্গী। ৯৯ ভাগ মানুষই ব্যবহার করত কুয়ার পানি। ওরা ছিল নিজভূমে পরবাসী। এদের পরিচয় হলো এরা ছিটের লোক। কৃষিকাজ ছাড়া এদের কোনো পেশা ছিল না। ব্যবসা বা ফসল আবাদের জন্য ছিল না কোনো ঋণের ব্যবস্থা। পাননি প্রয়োজনীয় বীজ, সার, কীটনাশক, কৃষি উপকরণের কোনো সুযোগ-সুবিধা।
১৯৪৭ সালে পাক-ভারত বিভক্তির কারণে ছিটমহল সমস্যার সৃষ্টি হয়। এর ফলে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ১১১টি ভারতীয় এবং ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহলের হাজার হাজার মানুষ হয়ে পড়ে অবরুদ্ধ। এসব ছিটমহল সম্পূর্ণ অভিভাবকহীন হয়ে পড়ে। ছিটমহলের প্রকৃত মালিক বাংলাদেশ না ভারত, তা অমীমাংসিত হয়ে থাকে। এ সমস্যা সমাধানে ১৯৭৪ সালে মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ৩৩ বছরেও চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ায় উভয় দেশের ছিটবাসী আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু করেন।
২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এলে চুক্তি বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৭৪ সালের ইন্দিরা-মুজিব চুক্তির আলোকে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে স্থলসীমান্ত চুক্তি কার্যকর হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ৩১ জুলাই মধ্যরাতে বাংলাদেশ ও ভারতের অভ্যন্তরে অবস্থিত ১৬২টি ছিটমহল বিনিময় হয়। এরপরই বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতীয় ১১১টি এবং ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশি ৫১টি ছিটমহল বিলুপ্ত হয়ে উভয় দেশের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে একীভূত হয়। এতে করে দীর্ঘ ৬৮ বছর দুই দেশের অভ্যন্তরের ছিটমহলের বাসিন্দারা নিজ নিজ দেশের নাগরিকত্ব লাভ করেন।
গত ১ আগস্ট সকালে বিলুপ্ত এই ছিটমহলগুলোতে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হয়।
বর্তমানে পঞ্চগড়ের বিলুপ্ত ৩৬টি ছিটমহলের নাগরিকদের জীবনযাত্রায় অভাবনীয় পরিবর্তন এসেছে। আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে হয়েছে বিপুল পরিবর্তন। বিলুপ্ত ছিটমহলের নাগরিকদের জীবনমান উন্নয়নে সরকার ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সত্যিকার অর্থেই উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে ছিটমহলগুলো। ৬৮ বছর পর নাগরিকরা পেয়েছে মৌলিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক অধিকার। পেয়েছে দেশ, পতাকা ও নাগরিকত্বের পরিচয়। নাগরিকদের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে আনা হয়েছে। বাড়িতে বাড়িতে জ্বলছে বিদ্যুতের আলো। চলছে রঙিন টিভি আর ঘুরছে বৈদ্যুতিক পাখা। গড়ে উঠেছে নতুন নতুন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা। ছিটমহলে জমি-জায়গা নিয়ে যে জটিলতার আশঙ্কা ছিল, এসবেরও সমাধান হচ্ছে। বর্তমানে এসব নাগরিকের ভোটার নিবন্ধন শেষ হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কৃষি, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা, শিক্ষা, পল্লী বিদ্যুৎ, এলজিইডি, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরসহ সব সরকারি দপ্তর ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিলুপ্ত ছিটমহলগুলোতে ৩২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে তিনটি কলেজ রয়েছে। এ ছাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দাখিল ও আলিম মাদ্রাসা গড়ে তোলা হয়েছে। কলেজগুলো হচ্ছে গাড়াতি ছিটমহলে রাজমহল মফিজার রহমান কলেজ, নাজিরগঞ্জ ছিটমহলে মুজিব-ইন্দিরা কলেজ এবং দহলা খাগড়াবাড়ি ছিটমহলে হাজী লুৎফর রহমান কলেজ। এসব কলেজের মধ্যে রাজমহল মফিজার রহমান কলেজকে পাঠদানের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ কলেজে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করাও হয়েছে। ক্লাসও চলছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ছিটমহলগুলোতে ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এরই মধ্যে পাঁচটি বিদ্যালয় স্থাপনের অনুমোদন পাওয়া গেছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। দু-একটি বিদ্যালয়ের কাজও শুরু হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি পঞ্চগড়ের জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মোহাম্মদ ইউনুস জানান, ঠাকুরগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ২২৬ কিলোমিটার বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করেছে। এরই মধ্যে আট হাজার ৫০৪টি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হয়ে উঠেছে অন্ধকারে ঢেকে থাকা প্রতিটি ছিটমহল।
এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী সুবাস কুমার সাহা জানান, সড়ক, কালভার্ট, সেতু, বাজার, মসজিদসহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করা হয়েছে। এ জন্য ৮২ কোটি ৬৬ লাখ টাকার ব্যয় ধরা হয়েছে। তিন বছরে এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
পঞ্চগড় জেলা পরিষদের প্রশাসক অ্যাডভোকেট আবু বকর ছিদ্দিক জানান, জেলা পরিষদ থেকে ছিটমহলগুলোতে এক কোটি ৬২ লাখ টাকার ২৫টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ছিটমহলগুলোতে দুই হাজার ২০০টি পানির উৎস এবং চার হাজার স্যানিটারি টয়লেট স্থাপনের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এরই মধ্যে ৬০টি বাড়িতে নলকূপ ও ১২৬টি বাড়িতে পায়খানা সরবরাহ করা হয়েছে। তবে হাজার হাজার মানুষের জন্য যে বরাদ্দ এসেছে, তা খুবই নগণ্য।
পঞ্চগড় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল হোসেন জানান, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ৮২ জনকে সোয়েটার নিটিং ও লিংকিং মেশিন অপারেটিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও বিজিএমই কর্তৃক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২৫৫ জনকে গাভী পালন প্রশিক্ষণ ও ঋণ প্রদান করে স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ চলমান রয়েছে।
পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জন ডা. পিতাম্বর রায় জানান, কয়েকটি ছিটমহলে অস্থায়ী স্বাস্থ্য ক্যাম্পের মাধ্যমে ইপিআইসহ স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হচ্ছে। পাঁচটি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের জন্য অনুমোদন পাওয়া গেছে। আরো দুটি স্থাপনের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
পঞ্চগড় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, বিলুপ্ত ছিটমহলের কৃষকদের আধুনিক কৃষিপ্রযুক্তি, জাতসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে। এরই মধ্যে ৩০০ কৃষককে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও প্রায় তিন হাজার চারা বিতরণ করা হয়েছে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দেওয়ান মো. সারওয়ার জাহান জানান, ছিটমহলগুলোতে ভোটার নিবন্ধনের কাজ শেষ হয়েছে। ছিটমহলের নাগরিকরা, যাঁরা অন্যত্র ভোটার রেজিস্ট্রেশন করেছেন, তাঁদের স্থানান্তর করা হয়েছে। আর যাঁরা এখনো ভোটার হতে পারেননি, তাঁদের রেজিস্ট্রেশন করতে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত আসলে তাঁদেরও ভোটার করা হবে। চলতি ভোটার রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমে পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ, বোদা ও পঞ্চগড় সদর উপজেলায় সাত হাজার ২৪৫ নাগরিকের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
জেলা সমাজসেবা অফিসের উপপরিচালক মো. ছিদ্দিকুর রহমান জানান, বিলুপ্ত ছিটের এক হাজার ১০৯ জনকে বয়স্কভাতা, ৪৭৪ জনকে বিধবা-ভাতা এবং ২৪৭ জনকে প্রতিবন্ধী ভাতার আওতায় আনা হয়েছে। বিলুপ্ত ছিটের সব নাগরিককেই সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় আনা হবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
এ ছাড়া বিলুপ্ত ছিটমহল এলাকাগুলোকে বিশেষ ত্রাণের আওতায় এনে চাল, গমসহ অন্যান্য সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে।
পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ গোলাম আজম জানান, কানুনগোর নেতৃত্বে ওয়ার্কিং কমিটি জমির দখল ও মালিকানার কাগজপত্র দেখে চিটা (খতিয়ানের প্রাথমিক তথ্য) দিয়েছেন। এরই মধ্যে মাঠ জরিপের কাজও শেষ হয়েছে। চূড়ান্ত গেজেট না হওয়া পর্যন্ত জমি নিবন্ধনের মাধ্যমে বেচাকেনা করতে পারবেন না। জমির মালিকানা বা জরিপ নিয়ে তেমন কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
গাড়াতি ছিটের সাবেক চেয়ারম্যান ও নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশ ইউনিটের সভাপতি মো. মফিজার রহমান বলেন, ‘এটি আমার দেশ। নাগরিকত্ব পেয়েছি। বিদ্যুৎ জ্বলছে আমাদের এলাকায়। আমরা দীর্ঘ ৬৮ বছরেও যা পাইনি, তা মাত্র এক বছরের মাথায় আমরা পেয়েছি। বর্তমান সরকার ছিটবাসীর কথা বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত উন্নয়ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানাই। ছিটমহলগুলোতে গড়ে তোলা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুমোদন দিয়ে দ্রুত এমপিওভুক্ত করা, চাকরিক্ষেত্রে কোটা নিশ্চিত করা এবং রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হলেই বাংলাদেশের সবচেয়ে সুখী এলাকার বাসিন্দা হবে বিলুপ্ত ছিটবাসী।’
পঞ্চগড় সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বিলুপ্ত ছিটের নাগরিকদের জীবনমান উন্নয়নে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সরকারের সকল সেক্টর একযোগে ছিট এলাকায় উন্নয়ন কার্যক্রম চালানোর ফলে এখানকার নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে। আর্থসামাজিক পরিবর্তন আসছে।’
পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার মো. গিয়াসউদ্দিন আহম্মেদ জানান, ছিটমহলগুলোতে যথেষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। ক্যাম্প স্থাপনের স্থান নির্ধারিত হলে শিগগিরই স্থায়ীভাবে পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হবে।
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক অমল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিলুপ্ত ছিটমহলের নাগরিকদের সমাজের মূলস্রোতের ধারায় নিয়ে আসতে আমরা সরকারের সকল দপ্তরকে সঙ্গে নিয়ে একযোগে কাজ শুরু করেছি। আমরা অনেকটাই সফল হয়েছি। বর্ষার পর পরই এসব এলাকার পুরো দৃশ্য পরিবর্তন হবে। জেলা প্রশাসন সরকারি সকল সেক্টরের কার্যক্রম তদারকি করছে।’
বিদ্যুৎ সংযোগের সঙ্গে সঙ্গে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগসহ সরকারের নাগরিক সুবিধার নানামুখী উন্নয়ন কর্মকান্ডের ফলে বিলুপ্ত ছিটমহলবাসীর সামাজিক ও অর্থনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে। সরকারের এই পদক্ষেপে দীর্ঘদিন মূল শ্রোতধারার সঙ্গে যুক্ত হওয়া নতুন নাগরিকরা ভীষণ খুশি।