‘মনে করি এটাই গোরস্তান, প্রতিদিনই আসি’
সাভারে ধসে যাওয়া রানা প্লাজার চতুর্থ তলার একটি কারখানায় বি লাইনে সুইং অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন শায়লা আক্তার। ভবনধসের দুই বছর পরও তাঁর সন্ধান পায়নি পরিবার। মায়ের বিশ্বাস, ধ্বংসস্তূপের নিচেই মেয়ের সমাধি। তাই তো ব্যথাতুর হৃদয় নিয়ে প্রতিদিনই একবারের জন্য ছুটে যান ধ্বংসস্তূপের কাছে।
‘মনে করি এটাই গোরস্তান, কবরস্থান। এই জন্য দেখতে আসছি। প্রতিদিনই আসি। দুই ঘণ্টা-এক ঘণ্টা থাকি। আবার যাইগা’, বলেন শায়লার মা রোজিনা আক্তার।
শায়লার মতো হতাহত অনেক শ্রমিকের স্বজনই ছুটে যান অভিশপ্ত সেই ধ্বংসস্তূপে। নিখোঁজ প্রিয়জনের কথা মনে করে বুক ভারি হয় তাঁদের। নির্বাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে কিংবা নীরব ক্রন্দনে খোঁজেন সান্ত্বনা।
urgentPhoto
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় নয়তলা রানা প্লাজা ধসে নিহত হন এক হাজার ১৩৭ শ্রমিক। আহত হন দুই হাজার ৪০০ জন। ভবনধসের পর পঙ্গু জীবনযাপন করছেন দুই শতাধিক। আর এখনো নিখোঁজ আছেন দেড় শতাধিক মানুষ। ওই ভবনে পাঁচটি পোশাক কারখানা ছিল।
ভবনধসের ঘটনায় তিনটি মামলা হলেও একটিতেও অভিযোগপত্র দিতে পারেননি তদন্তকারী কর্মকর্তারা। মামলায় ভবনের মালিক সোহেল রানাসহ ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে উচ্চ আদালতের জামিনে বের হয়ে এসেছেন আটজন। জেলহাজতে আছেন ১২ জন।
গত ১৫ এপ্রিল দুটি মামলার অভিযোগপত্র দাখিলের দিন নির্ধারিত ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে তদন্ত কর্মকর্তারা তা দাখিল করতে পারেননি। আদালত ২ মে আবার দিন ধার্য করেছেন।