পঞ্চগড়ে ছাত্রলীগের কালো পতাকা মিছিল
কালো পতাকা মিছিলের মাধ্যমে ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারা দেশে সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পঞ্চগড় জেলা শাখা।
আজ বুধবার দুপুরে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান আকতার ও সাধারণ সম্পাদক মারুফ রায়হানের নেতৃত্বে পঞ্চগড় এম আর সরকারি কলেজ থেকে এই কালো পতাকা মিছিল বের করা হয়।
শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে মিছিলটি শেষ হয়। পরে সেখানে অনুষ্ঠিত হয় সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা।
২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট পঞ্চগড় শহরের জজ কোর্টের ফটকের পাশে, জজকোর্টের সিঁড়ির নিচে, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে, কার্যালয়টির উত্তর পাশে, চৌরঙ্গী মোড়ে, জালাসী, বাস টার্মিনালের ভেতরের প্রবেশ পথসহ গুরুত্বপূর্ণ আটটি স্থানে বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি)। এ ঘটনায় পঞ্চগড় থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস ফকির বাদী হয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একটি মামলা করেন। একই বছরের ২৯ নভেম্বর শায়খ আব্দুর রহমানের জামাতা আব্দুল আউয়ালসহ ১১ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তিনি। এর আগের দিন ২৮ নভেম্বর অন্য মামলায় আব্দুল আউয়ালের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় অবশিষ্ট ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
এই ১০ জন হলেন -জেএমবির সুইসাইড স্কোয়াডের সদস্য তানভিরুজ্জামান ওরফে মুরাদ, খলিলুর রহমান, আজিজুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান, আব্দুল মতিন, আব্দুল মোমিন, রশিদুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, ফিরোজ হোসেন ও ফজলুর রহমান।
পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ অমূল্য কুমার সরকার ২০০৮ সালের ১৩ জুলাই সিরিজ বোমা হামলা মামলায় জেএমবির চার সদস্য পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার সুলতানপুর ধানমারা গ্রামের তানভীরুজ্জামান ওরফে সালমান ওরফে মুরাদ (২১), পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার সুন্দরদীঘি গ্রামের আজিজুল ইসলাম ওরফে মজনু (২৫), রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার হামিরকুৎসা গ্রামের মো. আব্দুল মতিন ওরফে ইসমাঈল (২০), নওগাঁ জেলার সদর উপজেলার কাজীর মোড় গ্রামের মো. হাফিজুর রহমান ওরফে হাফিজ ওরফে নোমানকে (২৫) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। আদালত এই মামলার অপর আসামি পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার বানিয়াপুর প্রধানপাড়ার মো. খলিলুর রহমান (৫০), পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার মীরগড় মধ্যপাড়ার আব্দুল মোমিন (২৫), রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলার কিসমত গ্রামের হামিদুল ইসলাম ওরফে হাবিব (২০), পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার কালীগঞ্জ গ্রামের রশিদুল ইসলাম ওরফে আসাদুল ওরফে আসাদুল্লাহ ওরফে আসাদ (২৫), নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার দক্ষিণ খড়িবাড়ী গ্রামের মো. ফিরোজ হোসেন ওরফে মুরাদ (২২) ও রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার শান্তপাড়ার ফজলুর রহমানের (৩৪) বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁদের খালাস দেন।