ভূমিকম্পে মানিকগঞ্জে ৪০ শিক্ষার্থীসহ শতাধিক আহত

ভূমিকম্পে মানিকগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪০ শিক্ষার্থীসহ শতাধিক আহত হয়েছেন। ভূমিকম্পের সময় তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে মানিকগঞ্জ শহরের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সাটুরিয়া উপজেলায় তারাসিমা অ্যাপারেলস নামক একটি পোশাক কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ৮৮ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দোতলা থেকে নামতে গিয়ে প্রায় ৪০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়। শিক্ষার্থীরা সবাই দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির। আহত ১০ জনকে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজনের হাত বা পা ভেঙে গেছে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, দোতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়টির ওপরের তলায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির প্রথম সাময়িক পরীক্ষা চলছিল। এ সময় ভূমিকম্প হয়। তাঁরা মাইকে ঘোষণা দিয়ে সবাইকে দোতলা থেকে নেমে আসতে বলেন। এর পর দোতলা থেকে হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা আহত হন।
অনেক অভিভাবক অভিযোগ করেন, শিক্ষকদের অব্যবস্থাপনার কারণেই শিক্ষার্থীরা তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে আহত হন।
অপরদিকে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কসংলগ্ন দোলোরা নামক স্থানে তারাসিমা অ্যাপারেলস নামক একটি তৈরি পোশাক কারখানায় ভূমিকম্পের সময়ে তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে প্রায় অর্ধশতাধিক শ্রমিক আহত হয়েছেন। এঁদের ২৬ জনকে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ছয় হাজার শ্রমিকের মতো কাজ করেন। এঁদের মধ্যে নারী শ্রমিকের সংখ্যাই বেশি। গতকালের ভূমিকম্পের সময়ও তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে একই পোশাক কারখানার ১০ শ্রমিক আহত হন।
তারাসিমা অ্যাপারেলসের উপমহাব্যবস্থাপক শাওন দেবনাথ বলেন, গতকালের ভূমিকম্পের ভীতিটাই আজকে বেশি কাজ করেছে। অনেকে পড়ে গিয়ে পদপিষ্ট হয়েছেন।
মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসক আবদুল মালেক বলেন, হাসপাতালে আনা পোশাক কারখানায় শ্রমিকদের অধিকাংশ মাথা ঘোরানোর কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন। অনেকে অচেতন হয়ে যান। শ্রমিকদের অনেককে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সবাই সুস্থ হয়ে উঠবেন।