সরেজমিন
বহু কেন্দ্রে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের এজেন্ট নেই
ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪০টি কেন্দ্র ঘুরে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থীদের পক্ষে কোনো পোলিং এজেন্ট পাওয়া যায়নি।
দক্ষিণের ভোটকেন্দ্রগুলোর মধ্যে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় শহীদ জিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের স্থাপিত তিনটি কেন্দ্রে দেখা যায়, এখানে তিনজন এজেন্ট রয়েছেন। তাঁদের একজন আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাঈদ খোকনের মাছ প্রতীকের এজেন্ট। অন্য দুজন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীদের এজেন্ট। একই চিত্র দেখা যায় অন্য আরো কয়েকটি কেন্দ্রেও।
এ ব্যাপারে যাত্রাবাড়ী শহীদ জিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রিসাইডিং অফিসার বলেন, ‘আমার কাছে যাঁরা এসেছেন, পরিচয়পত্র দেখিয়েছেন, তাঁদের আমরা বসিয়ে দিয়েছি। যাঁরা আসেননি, তাঁদের দায়িত্ব আমাদের নয়।’
বেলা ১১টার দিকে মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস জানান, ফকিরাপুলের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র থেকে মগ প্রতীকের নয়জন পোলিং এজেন্টকে তুলে গেছে পুলিশ।
এদিকে, শাহজাহানপুরে মির্জা আব্বাসের বাসার সামনে তাঁর ১০-১২ জন পোলিং এজেন্ট বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় তাঁরা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। পরে পুলিশ এলে তাঁরা মির্জা আব্বাসের নির্বাচনী কার্যালয়ে ঢোকেন। এজেন্টরা অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র থেকে সরকার সমর্থকরা তাঁদের বের করে দিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মগ প্রতীকের একজন এজেন্ট বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তাঁকে ভোটকেন্দ্র থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে দেওয়া হয়। এ সময় পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করে।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপির এজেন্টরা সকাল ৭টার দিকে ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে চাইলে তাঁদের লাঠিসোটা নিয়ে তাড়িয়ে দেন আওয়ামী লীগের সমর্থকরা।
এ ছাড়া স্বামীবাগের মিতালী হাই স্কুল, টিকাটুলী, ধলপুর, মানিকনগর, যাত্রাবাড়ী সরকারি স্কুলসহ দক্ষিণের বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে মির্জা আব্বাসের কোনো এজেন্ট পাওয়া যায়নি।
এদিকে, ঢাকা উত্তরে মিরপুর বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং অফিসার জহুরুল আলম জানান, বাস প্রতীকের (তাবিথ আউয়াল) পক্ষে তারা কেউ আবেদন করেনি।
মিরপুর গার্লস ল্যাবরেটরি স্কুল, মিরপুর ১৪ নম্বরে সরকারি স্কুল, দারুস সালাম সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পল্লবীর নাহার একাডেমি উচ্চ বিদ্যালয়, মিরপুর আরসি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গাবতলী পাঞ্জেরী মডেল হাই স্কুলে সরেজমিনে গিয়ে তাবিথের কোনো এজেন্ট পাওয়া যায়নি।