শরীয়তপুরে আ. লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা সদরে আজ বৃহস্পতিবার সকালে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশের দুই কনস্টেবলসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ কবিরুল ইসলাম জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বাদশা শেখ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলম চৌকিদারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল বুধবার রাতে শাহ আলমের সমর্থকরা বাদশা শেখের বাড়ির সামনে দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। আজ সকালে দুই পক্ষ নড়িয়া বাজারে অবস্থান নেয়। শাহ আলমের সমর্থকরা সকাল ১১টার দিকে নড়িয়া বাজারে মিছিল বের করে। এ সময় বাদশা শেখের ছেলে ইউনুছ শেখকে কুপিয়ে আহত করে। তখন দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১০৯টি ফাঁকা গুলি করে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন বাদশা শেখ (৫০), ইউনুছ শেখ (৩২), মাছুম (২৬), মিলন (৩০) , মোজাম্মেল (৩২) , জলিল শেখ (৪৫), মজিদ মুন্সি (৩৫), ইউনুছ সরদার (২৫), ইউনুছ বেপারি (৩৫), ফারুক মিয়া (৩০), মজিদ সরদার (৫০), দোলেয়ার হোসেন (৪০) , আব্দুল হাকিম (৪০) এবং পুলিশ কনস্টেবল মোস্তাক আহম্মেদ ও আহসান মিয়া।
স্থানীয়রা জানায়, শাহ আলমের সমর্থকরা বাদশা শেখের সমর্থকদের ছয়টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে। বাদশা শেখের বাড়িতে হামলা চালিয়ে পাঁচটি ঘর ভাঙচুর করেছে। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় বাজারের কয়েক শ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময় নড়িয়া-শরীয়তপুর সড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ২০০১ সালে শাহ আলমকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এর পর তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে সরে যান। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পর শাহ আলম আবার আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলম বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি। আমার কর্মীরা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ মিছিল করছিল। বাদশার সমর্থকরা মিছিলের ওপর হামলা চালায়।’