পাবনাসহ উত্তরাঞ্চলে খরা, পানির তীব্র সংকট
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/05/01/photo-1430423307.jpg)
প্রচণ্ড তাপদাহ ও খরায় পাবনাসহ উত্তরাঞ্চল পুড়ছে। বৃষ্টি না হওয়ায় এসব এলাকার খাল, বিল, পুকুর ও জলাশয় শুকিয়ে গেছে। তীব্র খরায় চরাঞ্চলের হাজার হাজার বিঘা জমির ফসল পুড়ে যাচ্ছে। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র সংকট।
গত এক মাস পাবনাসহ উত্তরাঞ্চলের এই চিত্র। ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এ অঞ্চলের তাপমাত্রা এবং গরম অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারে অনেক বেশি।
পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ জানিয়েছে, সাধারণ হস্তচালিত নলকূপ দিয়ে ৩০ ফুট নিচের পানি উত্তোলন করা সম্ভব হয়। কিন্তু বর্তমানে এই স্তর ৩৫ থেকে ৪০ ফুট নিচে নেমে গেছে। সমগ্র উত্তরাঞ্চলের ২০ লাখ অগভীর নলকূপ দিয়ে পানি উঠছে না। একই কারণে অকেজো হয়ে পড়েছে পাবনা জেলায় সরকারি পর্যায়ের সাড়ে ১৫ হাজার এবং বেসরকারি পর্যায়ে এক লাখ ২৫ হাজার নলকূপ।
পাবনা, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় বরেন্দ্র এবং কৃষি বিভাগসহ কৃষকদের ব্যক্তিগত পর্যায়ে কয়েক লাখ গভীর সেচযন্ত্রের মাধ্যমে প্রতিদিন লাখ লাখ লিটার পানি সেচকাজে উত্তোলন করা হচ্ছে।
পাবনা ও সিরাজগঞ্জের দায়িত্বপ্রাপ্ত জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জামানুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর আরো নিচে নেমে যাচ্ছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘পাবনা ও সিরাজগঞ্জ এলাকায় পানীয়জলের ব্যবস্থা হিসেবে অনেক জায়গায় পাম্প বসানো হয়েছে। এ ধরনের পাম্প ৬০ ফুট নিচের ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করতে পারে।’
পাবনার আর্সেনিকপ্রবণ সদর, সুজানগর, সাঁথিয়া, বেড়া এবং ঈশ্বরদী উপজেলার কয়েকশ গ্রামে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। সরকারিভাবে আর্সেনিকমুক্ত কিছু প্রকল্পের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অতি নগণ্য। বৃষ্টি না হলে এই পানি সমস্যা ভয়াবহ অবস্থা নেবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিভিন্ন এলাকার কৃষক এনটিভি অনলাইনকে জানান, তীব্র খরায় চরাঞ্চলের হাজার হাজার বিঘা জমির বিভিন্ন ফসল পুড়ে যাচ্ছে। প্রান্তিক চাষিরা অর্থ ব্যয় করে সেচ সুবিধা নিতে পারছেন না।