‘বিচারহীনতার সংস্কৃতি দেশকে অন্ধকারে ঢেলে দিচ্ছে’
‘কণ্ঠ মোদের রুদ্ধ করিবে এমন সাধ্য কার, সহস্র কোটি কণ্ঠে যখন দৃঢ় অঙ্গীকার’ স্লোগানে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন রাঙামাটি জেলা সংসদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শুক্রবার সকালে শহরের জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে জাতীয় ও দলীয় সংগীত এবং জাতীয় ও সংগঠনের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সম্মেলনে উদ্বোধন হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. শাহ আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জিলানী শুভ, সাবেক সহসভাপতি আরিফুল ইসলাম নাদিম, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের জেলা আহ্বায়ক কলিন চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের জেলা সম্পাদক রিন্টু চাকমা।
রাঙামাটি জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি সৈকত রঞ্জন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে আরো বক্তব্য দেন কক্সবাজার জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি সৌরভ দেব, চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক আতিক রিয়াদ, চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি অটল ভৌমিক প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কমরেড মো. শাহ আলম বলেন, দেশ একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। সরকার একদিকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যেমন করছে, তেমনি অন্যদিকে সুন্দরবনে ভারতীয় স্বার্থের কয়লাখনি নির্মাণ করে জাতীয় সম্পদ সুন্দরবনকে বিরান করার পাঁয়তারা করছে। আবার গুম-খুন আর বিচারহীনতার সংস্কৃতি দেশকে অচেনা অন্ধকারের দিকেই নিয়ে যাচ্ছে। এভাবে চলতে পারে না।
দেশের প্রগতিশীল, বিবেকবান মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অন্যায়, অবিচার আর বিচারহীনতার সংস্কৃতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান শাহ আলম।
ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জিলানী শুভ বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের স্বতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন সরকারের নেতিবাচক রাজনীতির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ। এভাবে সুন্দরবনকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা এবং নষ্ট রাজনীতির বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজকেই রুখে দাঁড়াতে হবে।
বিকেলে দ্বিতীয় অধিবেশনে ছাত্রনেতা অভিজিৎ বড়ুয়াকে সভাপতি, মিশু দেকে সাধারণ সম্পাদক এবং তুষার ধরকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ছাত্র ইউনিয়ন রাঙামাটি জেলা সংসদের ১৯ সদস্যের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।
কমিটিতে আরো আছেন কোষাধ্যক্ষ হিরো তঞ্চঙ্গ্যা, দপ্তর সম্পাদক শ্রাবণ রায় শাওন, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক জিকো দিও, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক প্রান্ত দেবনাথ রনি, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক শান্তনু বড়ুয়া, সাংস্কৃতিক সম্পাদক চায়না পাটোয়ারী।