পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ বাস্তবায়িত : স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ-এ স্লোগান আজ বাস্তবায়িত হয়েছে। কিছু দিন আগের হরতাল-অবরোধ জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। পুলিশ জানমালের নিরাপত্তা দিয়ে জনগণকে সহযোগিতা করেছে। পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে আরো ৫০ হাজার পুলিশ সদস্য নিয়োগ করা হবে। ইতিমধ্যেই ১০ হাজার পুলিশ সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকি ৪০ হাজার পুলিশ সদস্য নিয়োগ করা হবে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।
আজ শনিবার বিকেলে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর প্রমোদা সুন্দরী (পিএস) মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কমিউনিটি পুলিশিং ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্রামের শান্তি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কমিউনিটি পুলিশ সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে পারছে। আগে থানা ছিল অনেক দূরে। গ্রামের মোড়ল, মাতবর ও প্রভাবশালীরা বিচার করতেন। এখন কমিউনিটি পুলিশ সেই কাজটি করতে পারবে। সমাজের কে কী কাজ করছে কমিউনিটি পুলিশ তা চিহ্নিত করতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
যমুনা নদীর দুর্গম চরাঞ্চলে পুলিশফাঁড়ি স্থাপন করতে স্থানীয় লোকজনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ফাঁড়ি স্থাপনের আইনগত কিছু বিধি-নিষেধ আছে। জনগণের চাহিদায় স্থানীয় সংসদ সদস্য চাইলে পুলিশ তথ্যকেন্দ্র স্থাপন করা যাবে।
মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরার সভাপতিত্বে কমিউনিটি পুলিশিং ও সুধী সমাবেশে অন্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন, মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দুর্জয়, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক, পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এস এম মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান, হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি মল্লিক ফকরুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসক অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দিন, মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র রমজান আলী প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এর আগে দুপুর ১২টার দিকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এক কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে মানিকগঞ্জের গোলড়া হাইওয়ে পুলিশ থানা ও দুই কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে দৌলতপুর থানার নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করেন। এ সময় পুলিশ ও প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।