শরীয়তপুরে জমি নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৩

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্থাপনা নির্মাণ করাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার বাহির কুশিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নড়িয়া থানার পুলিশ জানায়, বাহির কুশিয়া গ্রামের সামসুল হক হাওলাদার (৫৫) ক্রয় সূত্রে দীর্ঘদিন ধরে একটি জমি ভোগদখল করছেন। সম্প্রতি একই গ্রামের আলী বক্স হাওলাদার ওই জমির মালিকানা দাবি করে জমিটি দখলের চেষ্টা করেন। এই ঘটনায় সামসুদ্দিন হাওলাদার বাদী হয়ে অতিরিক্ত জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি পিটিশন দায়ের করেন। আদালত পিটিশনটি আমলে নিয়ে ১৪৪ও ১৪৫ ধারামতে নড়িয়া থানাকে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। ওই জমিতে কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ না করারও নির্দেশ দেন আদালত।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আলী বক্স হাওলাদার লোকজন নিয়ে শুক্রবার দুপুর থেকে জমিটিতে স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করেন। একে কেন্দ্র করে শনিবার আলী বক্স ও সামসুল হকের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় সামসুল হক হাওলাদারের পক্ষের মনোয়ারা বেগম, রিপনী বেগম ও আলী বক্স হাওলাদারের স্ত্রী রহিমা বেগম আহত হন।
গুরুতর আহত অবস্থায় মনোয়ারা বেগমকে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ নড়িয়া থানায় দুটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
সামসুল হক হাওলাদার বলেন, ‘ক্রয় সূত্রে মালিক হয়ে জমিটি আমি ভোগদখল করে আসছি। তারা অন্যায়ভাবে আমাকে জমি থেকে উচ্ছেদ করতে চায়। আমি আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি।’
আলী বক্স হাওলাদার বলেন, ‘এই জমির মালিক আমি। তাই আমার জমি দখলে যাওয়ার চেষ্টা করছি। তাদের জমি অন্য জায়গায় আছে।’
নড়িয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) পারভেজ আহাম্মেদ সেলিম বলেন, জমিটির ওপর আদালত থেকে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। কোনো পক্ষ স্থাপনা নির্মাণ করলে তা আদালত অবমাননা করা হবে। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। দুই পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে।