অস্ত্র উদ্ধার ছাড়াই গজারিয়াকে সন্ত্রাসমুক্ত ঘোষণা শনিবার!
মুন্সীগঞ্জ জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খ্লা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও গজারিয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার ব্যাপক বেড়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের পর থেকে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছে বেশ কয়েকজন, নিখোঁজ রয়েছে এখনো দুজন। অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে মাত্র একটি।
এই অবস্থায় গজারিয়া উপজেলাকে আগামী ৮ অক্টোবর সন্ত্রাস, ভূমিদস্যু ও চাঁদাবাজমুক্ত ঘোষণা করবেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ জায়েদুল আলম।
গত ২১ আগস্ট হাটের ইজারা নিয়ে গজারিয়া উপজেলা পরিষদ এলাকায় প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে গুলিবর্ষণ, চরবলাকীতে তিনজনকে গুলি করে হত্যা, দুজন নিখোঁজ এবং ওই ঘটনায় অর্ধ শতাধিক আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহারের আতঙ্ক গজারিয়াবাসীর পিছু ছাড়ছে না। গজারিয়ায় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার না হওয়ায় পুলিশ প্রশাসনের ওপর বিরূপ ধারণা বিরাজ করছে। প্রশ্ন উঠেছে পুলিশি কার্যক্রম নিয়ে।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমি মাত্র দুই মাস হয়েছে এই জেলায় যোগদান করেছি। পুরো জেলার আইনশৃঙ্খ্লার ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কয়েকটি, যা কি না সন্তোষজনক। তবে গজারিয়ার বিষয়টি ভিন্ন, চারদিকে নদী বেষ্টিত ও হাইওয়ের পাশে হওয়ায় অপরাধীরা অপরাধ করে মহাসড়কে অথবা নদী পথে পালিয়ে যায়। চর বলাকীর ঘটনায় বেশ কয়েকজন আটক রয়েছে এবং দেশের বাইরেও গ্রেপ্তার রয়েছে। ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাদের দেশে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমরা কোনো রকম ছাড় দিচ্ছি না।’
পুলিশ সুপার বলেন, ‘গজারিয়ায় ভূমিদুস্য, বালুদস্যু, চাঁদাবাজ, নৌডাকাত রয়েছে, তেমনি তাদের ধরার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। রাজধানীর পাশে হওয়াতে বহিরাগত অনেক সন্ত্রাসীর আনাগোনা রয়েছে এই এলাকায়। অপরাধ করে আবার গা ঢাকা দেয় তারা। তবে আমি আসার পর অপরাধ অনেকটা কমে এসেছে। গজারিয়ার হাট নিয়ে ইজারার ঘটনায় অস্ত্রধারীদের চিহ্নিত করে শনাক্তের কাজ চলছে এবং অচিরেই অস্ত্র উদ্ধার হবে।’
৮ অক্টোবর শনিবার রাজনীতিবিদ, পুলিশ প্রশাসন ও সমাজের সব স্তরের জনগণকে নিয়ে গজারিয়াকে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসমুক্ত ঘোষণা করা হবে জানান পুলিশ সুপার। এ সময় মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সদস্য মৃণাল কান্তি দাসসহ ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।