আরজুকে অন্য আসামিদের মারধর
হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামের চাঞ্চল্যকর চার শিশু হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ দ্বিতীয় দফা পিছিয়েছে।
এর আগে গত ২৬ সেপ্টেম্বর মামলার নির্ধারিত তারিখে বাদীপক্ষ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট আবুল হাশেম মোল্লা মাসুমের বিরুদ্ধে আস্থাহীনতার অভিযোগ উত্থাপন করে সাক্ষ্য দেননি। বাদীপক্ষ তার মামলার জন্য রাষ্ট্রপক্ষে নতুন আইনজীবী নিয়োগের আবেদন জানান।
পরে আজ রোববার মামলার নির্ধারিত তারিখে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাবিনা আলম ওই মামলার জন্য রাষ্ট্রপক্ষে নতুন আইনজীবী হিসেবে অ্যাডভোকেট ত্রিলোক কান্তি চৌধুরী বিজনকে নিয়োগ দেন।
নতুন আইনজীবী ত্রিলোক কান্তি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য সময়ের আবেদন করলে বিচারক জেলা জজ মোহাম্মদ আতাবুল্লাহ মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন আগামী ১৭ অক্টোবর।
এদিকে, আজ আসামিদের আদালতে হাজির করার উদ্দেশে হাজতে নেওয়া হলে আসামি আরজুকে বেধড়ক মারপিট করেন অন্য আসামিরা। চার শিশু হত্যায় জড়িতদের নাম প্রকাশ করে আরজু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ায় তাকে মারপিট করা হয়। মারপিটে মাথা ফেটে গেলে আরজুকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে আহত আরজু আদালতকে মারপিটের বিষয়টি জানান।
এ ছাড়া আসামি আবদুল আলী বাগালের পক্ষে জামিন চাওয়া হলে আদালত তার জামিন নাকচ করেন।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামের চার শিশু নিখোঁজ হয়। ১৭ ফেব্রুয়ারি বাড়ির অদূরে বালুমাটিতে পোতা অবস্থায় তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ৪ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোকতাদির হোসেন আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলায় বর্তমানে পাঁচজন কারাগারে রয়েছেন। বাকি তিনজন পলাতক। এ ছাড়া অভিযোগপত্র দেওয়ার আগেই মামলার এক আসামি বাচ্চু মিয়া র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।