হবিগঞ্জে ৪ শিশু হত্যা : পলাতক ৩ আসামির মালামাল ক্রোক
হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামের চাঞ্চল্যকর চার শিশু হত্যা মামলার পাঁচ আসামির কেউই জামিন আবেদন করেননি।
তবে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত যে দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা পুলিশের জব্দ তালিকায় রয়েছে, তা ফেরতের জন্য মালিকদের আবেদন আমলে নিয়েছেন বিচারক। এ বিষয়ে পরবর্তী তারিখে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।
আজ রোববার বিকেলে মামলার নির্ধারিত তারিখে হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক কিরণ শংকর হালদার এ আদেশ দেন। আগামী ২২ আগস্ট মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট আবুল হাশেম মোল্লা মাসুম জানান, আজ আদালতে পলাতক আসামি বাবুল, উস্তার ও বিল্লাল মিয়ার বাড়ির মালামাল ক্রোকের আদেশ কার্যকর করার কথা জানিয়েছে পুলিশ। আগামীতে পলাতক আসামিদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। এরপর মামলাটির বিচার কার্যক্রম শুরু হবে।
এর আগে কড়া নিরাপত্তায় কারাগারে থাকা আসামিদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। তবে এই পাঁচ আসামির কেউই জামিন চেয়ে আবেদন করেননি বলে জানান পিপি।
গত ৫ এপ্রিল হবিগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুক্তাদির হোসেন চার শিশু হত্যার ঘটনায় আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার আসামিরা হলো—আবদুল আলী বাগাল, তার তিন ছেলে জুয়েল, রুবেল ও বিল্লাল, হাবিবুর রহমান আরজু, শাহেদ ওরফে ছায়েদ, বাবুল ও উস্তার। তাদের মধ্যে বিল্লাল, বাবুল ও উস্তার পলাতক।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি বিকেলে হবিগঞ্জের বাহুবল থেকে চার শিশু নিখোঁজ হয়। নিখোজের পাঁচদিন পর বুধবার দুপুরে বাড়ির অদূরে বালুমাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত শিশুরা হলো সুন্দ্রাটিকি গ্রামের মো. ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে স্থানীয় সুন্দ্রাটিকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), তার দুই চাচাতো ভাই আবদুল আজিজের ছেলে একই বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র তাজেল মিয়া (১০) ও আবদাল মিয়ার ছেলে একই বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্র মনির মিয়া (৭) এবং তাদের প্রতিবেশী আবদুল কাদিরের ছেলে সুন্দ্রাটিকি মাদ্রাসার ছাত্র ইসমাঈল হোসেন (১০)।