শিশুধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
শিশুধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে মাদারীপুর জেলা শহরের একটি বাড়ি থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঝিনাইদহের পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার মাদ্রাসাছাত্র মিরাজুল ইসলামের খুনি।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির নাম বোরহান উদ্দিন ওরফে আতিয়ার হুজুর। বিভিন্ন জেলায় শিশু-কিশোর ও প্রতিবন্ধী ধর্ষণ ও খুনসহ নানা লোমহর্ষক অপরাধ কর্মকাণ্ডের সাথে এই ব্যক্তি জড়িত বলে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।
হাসানুজ্জামান জানান, মাদ্রাসাছাত্র মিরাজুলের জবাই ও বিকৃত করা লাশ উদ্ধারের সূত্র ধরে আতিয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে কোটচাঁদপুর থেকে মিরাজুল হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতার অভিযোগে হাবিবুর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিরাজুল হত্যাকাণ্ডের ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, গত ১৬ মার্চ কোটচাঁদপুরের ভোমরাডাঙ্গা গ্রামের ভুট্টাক্ষেত থেকে মিরাজুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। খুনিরা মিরাজুলকে জবাই করার পর মুখমণ্ডল ও মাথার চামড়া ছাড়িয়ে নিয়েছিল।
নিহত মিরাজুল চুয়াডাঙ্গার বুজরুখ গড়গড়ি দারুল উলুম মাদ্রাসায় তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত। লাশ উদ্ধারের দুদিন আগে বাড়ির পাশের ওয়াজ মাহফিল থেকে সে নিখোঁজ হয়।
মিরাজুল নিখোঁজ হওয়ার পরদিন খুনিরা তার বাবার কাছে ফোন করে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ ঘটনায় কোটচাঁদপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছিল। পরে লাশ উদ্ধারের দিনে নিহতের বাবা একই থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই মামলার সূত্র ধরেই হত্যার রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশের একাধিক দল মাঠে নামে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান। অবশেষে মুক্তিপণ দাবি করা মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে পুলিশ আতিয়ারকে গ্রেপ্তার করে।