প্রতিবাদকারীদের ওপর হামলায় কেন ব্যবস্থা নয়
নারী হেনস্তার প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে প্রতিবাদকারীদের ওপর পুলিশের হামলা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা-ও জানতে চেয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলি জারি করেন।
জড়িতদের বিরুদ্ধে পুলিশের বিভাগীয় কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা ১৪ মে (বৃহস্পতিবার) প্রতিবেদন আকারে জমা দিতে বলেছেন আদালত।
গতকাল বুধবার জনস্বার্থে এ-সংক্রান্ত রিট করেন আইনজীবী ইউনূস আলী আকন্দ।
রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজি, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার, ডিএমপি রমনা বিভাগের উপকমিশনার, রমনা ও শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) বিবাদী করা হয়। তাঁদের দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলেছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট ড. ইউনূস আলী আকন্দ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘অন্যায়ের প্রতিবাদ করা জনগণের মৌলিক অধিকার। পুলিশ ন্যক্কারজনকভাবে প্রতিবাদকারীদের ওপর হামলা করেছে। অথচ নারী লাঞ্ছিতের ঘটনায় দোষীদের এখনো খুঁজে বের করা হয়নি। গতকাল জনস্বার্থে রিট করেছি। আদালত শুনানি শেষে রুলের পাশাপাশি কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।’
এ সময় রিটকারীর পক্ষে ইউনূস আলী আকন্দ এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস শুনানিতে অংশ নেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠানে যৌন হেনস্তাকারীদের শাস্তির বিচারসহ ছয় দফা দাবিতে ছাত্র ইউনিয়নের ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে গত রোববার দুপুর ১টার দিকে হামলা চালায় পুলিশ। ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা কাকরাইল-মগবাজার সড়কের সার্কিট হাউস মসজিদের সামনে অবস্থান নিলে পুলিশ তাঁদের লাঠিপেটা করে এবং জলকামান দিয়ে হামলা চালায়। এতে সাতজন আহত হন। এ সময় ছাত্র ইউনিয়নের তিন কর্মীকে আটক করে পুলিশ।