প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ঝিনাইদহে স্কুলছাত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকালে জেলা শহরের উপশহরপাড়ায় অভিযান চালিয়ে মামলার দুই আসামি বখাটে লিটুর নিকটাত্মীয় রুহুল আমিন ও তাঁর স্ত্রী রূপা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

ঘটনার দিন রাতেই আহত ছাত্রীর বাবা বিপুল মজুমদার বাদী হয়ে বখাটে লিটুসহ পাঁচজনের নামে মামলা করেন।

ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরেন্দ্রনাথ সরকার জানান, স্কুলছাত্রীকে আহত করার ঘটনায় তাঁর বাবা বিপুল মজমুদার রাতে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  ঘটনার প্রধান আসামি লিটুকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

ওসি আরো জানান, এর আগে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় বখাটে লিটু স্থানীয় জামিলা খাতুন বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রীকে তার বাড়ির ছাদে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় ওই ছাত্রী প্রাণে রক্ষা পেলেও ধারালো ছুরির আঘাতে তার চোয়ালের বাম অংশ এবং ডান হাতের কব্জি ক্ষতবিক্ষত হয়। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

আহত স্কুলছাত্রীর পরিবারের দাবি, তাদের বাড়ির পাশের ফল বিক্রেতা বাবুর শ্যালক বেশ কিছুদিন ধরে ওই স্কুলছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। গতকালও প্রস্তাব দিলে সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ঘটনাটি ঘটায় লিটু।