পল্লবীতে বাসায় ঢুকে দুজনকে কুপিয়ে হত্যা
রাজধানীর পল্লবীতে বাসায় ঢুকে দুজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ বুধবার বিকেলে ওই ঘটনায় নিহত হয়েছেন গৃহকর্ত্রী সুইটি আক্তার (২৩) ও তাঁর মামাশ্বশুর আমিনুল ইসলাম (৪০)।
নিহত সুইটি ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার নামে একটি বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ছিলেন। সুইটির স্বামী জাহিদুল ইসলাম ডেসকোর সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করছেন। জাহিদুল ইসলামের মামা আমিনুল ইসলাম বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন। urgentPhoto
পল্লবীর ২০ নম্বর রোডের ৯ নম্বর বাসায় খুনের ঘটনা ঘটে। আটতলা ভবনের ষষ্ঠতলায় নিজের ফ্ল্যাটে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে থাকতেন জাহিদুল ইসলাম। প্রতিবেশী ও স্থানীয় লোকজন জানান, বেলা দেড়টার দিকে মোটরসাইকেলে করে দুই ব্যক্তি বাড়ির সামনে আসেন। আত্মীয় পরিচয় দিয়ে তাঁরা ভেতরে ঢোকেন।
জাহিদুল ইসলাম দুপুর ৩টার দিকে খাবার খেতে বাসায় আসেন। তখনই হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি ধরা পড়ে। জাহিদ বাসায় ঢুকে সুইটি আক্তার ও আমিরুল ইসলামকে রক্তাক্ত অবস্থায় মৃত পড়ে থাকতে দেখেন। বাথরুমে পালিয়ে রক্ষা পান জাহিদের পাঁচ বছর বয়সী ছেলে সাদ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট)। হত্যাকাণ্ডের বিভিন্ন আলামত জব্দ করার পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী আবদুল খালেক ও সুইটির ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের অংশীদার শাহীনকে আটক করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের কারণ না জানতে পারলেও পুলিশের ধারণা, ব্যবসাসংক্রান্ত লেনদেনকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে।
জাহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘গতকাল (ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের) অফিসে পার্টনারশিপ নিয়ে কথা ছিল যে আমরা আলাদা হয়ে যাব। পরশুদিনও একটা মিটিং হয়েছে আমাদের। মিটিংয়ে আমার স্ত্রী কিছুটা উত্তেজিত হয়েছিলেন। তবে আমি তাঁকে থামিয়ে দিয়েছিলাম। ওই ধরনের কোনো বাকবিতণ্ডা হয়নি।’
ঘটনার আগে জাহিদুল ইসলামকে ফোন করেছিলেন তাঁদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের অংশীদার শাহিন। জাহিদুল বলেন, বিকাশ-প্রকাশ গ্রুপের মুন্না প্রথমে কথা বলে পরবর্তীতে কথা বলে জিসান।’
এ ব্যাপারে পুলিশের উপকমিশনার নিশারুল আরিফ সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে যেটা জানা গেছে দারোয়ান বলেছে দুজন লোক একটা মোটরসাইকেলযোগে এসেছিল। এদের পরনে ছিল কালো প্যান্ট ও সাদা শার্ট।
দুজনের বয়স আনুমানিক ২৫ থেকে ৩০ বছরের মতো হবে। এরা ওপরে ওঠে এবং জিজ্ঞাসা করা হলে বলে জাহিদ সাহেবের বাসায় যাব। তিনি আরো জানান, ‘আমরা যেভাবে তদন্ত করি সেভাবে তদন্ত করে দেখছি তা অর্থনৈতিক, সামাজিক, পারিবারিক বা অন্যান্য কোনো কারণ আছে কি না।’