জেলে অনিয়ম, জেলারকে ডাকলেন আদালত
বন্দিদের মারধর ও দুর্ব্যবহার করার অভিযোগে ঝিনাইদহ জেলা কারাগারের কারাধ্যক্ষ (জেলার) মো. দিদারুল আলমকে আদালতে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার ঝিনাইদহ মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. জাকির হোসেন এ আদেশ দেন। জেলারকে আগামী ৮ নভেম্বর সকাল ১০টায় আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
অভিযোগ ওঠেছে, জেলার দিদারুল আলম কারাবন্দিদের মারধর এবং তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এমনকি আসামি মুক্তির আদেশ আটক রাখার অভিযোগও আছে দিদারুলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ আছে, আসামির ‘রিলিজ অর্ডার’ পাওয়ার পরও নির্দিষ্ট দিনে মুক্ত না করে পরের দিন মুক্তি দেন তিনি।
এসব ঘটনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম আদালতকে জানান। আদালত নজরুল ইসলামের দেওয়া তথ্য গোচরে নিয়ে ২৫ ধারার ক্ষমতা বলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না সেই মর্মে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ দেন আদালত।
আদালত সূত্রে জানা যায়, বিষয়টি নিয়ে ওই জেলারের বিরুদ্ধে একটি মামলাও করা হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যায় কারা তত্ত্বাবধায়ক (জেল সুপার) মো. গোলাম হোসেন বলেন, ‘গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে জুডিশিয়াল কনফারেন্স চলাকালীন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম জেলার দিদারুল আলমের বিরুদ্ধে গুরুতর কিছু অভিযোগ উত্থাপন করেন। এরই আলোকে আদালত মামলাটি দায়ের করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তিনি এখনো আদালতের অদেশের কপি পাননি বলে দাবি করেন।
এদিকে রোববার সকালের দিকে জেলা প্রশাসক মো. মাহবুব আলম তালকুদার, সিভিল সার্জন আব্দুস সালামসহ কারা পরিদর্শক কমিটির সদস্যরা জেলা কারাগার পরিদর্শন করেছেন। একইসঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়েছে ত্রৈ-মাসিক বৈঠক। অবশ্য ওই বৈঠকে জেলার দিদারুলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নিয়ে আলোচনা করা হয়নি।
বর্তমানে কারাগারটিতে পাঁচ শতাধিক বন্দি আছে। এদের মধ্যে শতাধিক কয়েদি এবং দুজন ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত বলে জানা গেছে।