মোদির সফরকালে যোগাযোগ খাতে চারটি চুক্তি : ওবায়দুল কাদের
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসন্ন বাংলাদেশ সফরকালে শুধু সড়ক যোগাযোগ ক্ষেত্রে চারটি চুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে। আজ সোমবার ভারতের পরিবহনমন্ত্রী নিতেন গাটকারীর সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
নরেন্দ্র মোদি আগামী মাসে বাংলাদেশ সফরে আসছেন জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ভারতের ট্রান্সপোর্টমন্ত্রীর সাথে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আলোচনাকালে তিনি যোগাযোগ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কর্মকাণ্ড ও উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন। নিতিন গাটকারী যোগাযোগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করেন।
এ সময় ওবায়দুল কাদের দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশের যোগাযোগ ক্ষেত্রে ভারতের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। ভারতের মন্ত্রী সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন বলে জানান সেতুমন্ত্রী।
ওবায়দুল বলেন, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে (বিমসটেক) মোটরযান চুক্তি আগামী মাসে চার দেশের যোগাযোগমন্ত্রীর বৈঠকে স্বাক্ষরিত হবে। এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে এই অঞ্চলের যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন যুগের সূচনা হবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকালে যোগাযোগের যেসব ক্ষেত্রে চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ফেনী নদীর ওপর সেতু নির্মাণ। এই সেতু ভারত নির্মাণ করবে। এ ছাড়া আগরতলা-ঢাকা-কলতকাতা বাস সার্ভিস, আশুগঞ্জ থেকে আশুগঞ্জ পণ্য পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি হতে পারে।
এক প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা-শিলং-গোহাটি বাস সার্ভিসের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে। আগামী ১৮ জুন এর পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু হবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী এ সার্ভিসের উদ্বোধন করতে পারেন।
ভারতের পরিবহনমন্ত্রীর সাথে বৈঠককালে কলকাতা-চট্টগ্রাম, শিলং-চট্টগ্রাম, যশোর, কলকাতা, খুলনা নতুন বাস সার্ভিস চালুর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি জানান, প্রথম ক্রেডিট লাইনের অধীনে বাংলাদেশ ভারত থেকে ৮৫৮টি বাস ক্রয় করেছে। দ্বিতীয় ক্রেডিট লাইনের অধীনে আরো ৫০০ ট্রাক, ১০০ সংযুক্ত বাস ও ৩৩টি দ্বিতল বাস কিনতে প্রস্তাব করা হয়েছে। ভারতের মন্ত্রী বিষয়টি সক্রিয় বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন। আলোচনাকালে ভারতের লোক ও রাজ্যসভায় সর্বসম্মতভাবে সীমান্ত চুক্তি অনুমোদন বিল পাস করায় ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান।