শেষ হলো সিলেটে ‘মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনি’র তৃতীয় আসর
‘তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে হবে। একটি জাতির ইতিহাস হওয়া উচিত নির্ভেজাল। অথচ আমাদের ইতিহাসকে কেবল রাজনৈতিক কারণেই বিকৃত করা হচ্ছে। নির্জলা মিথ্যাচারের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের বিকৃতি ঘটিয়ে তরুণ প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের জাল ও ভুয়া ইতিহাস থেকে আমাদের দূরে থাকতে হবে।’
‘মুক্ত আসর’র চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সারা দেশে শুরু হয়েছে ‘মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনি’র আসর। এর অংশ হিসেবে গতকাল সোমবার দুপুরে সিলেটের ইনক্লুসিভ স্কুল অ্যান্ড কলেজে আয়োজন করা হয় ‘মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনি’ শীর্ষক অনুষ্ঠান। শিশু-কিশোরদের জন্য আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই কথা বলেছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ভবতোষ বর্মরায়ণ রানা।
সোমবার জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরে খুদে শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনান বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট মহানগর ইউনিটের কমান্ডার ভবতোষ বর্মরায়ণ রানা ও মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমান চৌধুরী। এ ছাড়া বক্তব্য দেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আছাদুজ্জামান, আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আবু সাঈদ, গবেষক ও কবি সুমনকুমার দাশ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অরুণ কান্তি হাওলাদার।
মুক্ত আসরের সভাপতি আবু সাঈদ জানান, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ১২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনি’ শীর্ষক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে তিনটি প্রতিষ্ঠানে তা শেষ হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনার পর শিশু-কিশোরদের প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরু হয়। এই পর্বের পর আয়োজন করা হয় মুক্তিযুদ্ধের ওপর কুইজের। ‘ধনধান্য পুষ্প ভরা’ গানটি পরিবেশন করেন শিল্পী অনামিকা রায়। এই গানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়। অনুষ্ঠানটি সহযোগিতা করছে ইটেক, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক পত্রিকা স্বপ্ন ৭১।