রাঙামাটিতে গুলিতে জেএসএসের দুই কর্মী নিহত
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় প্রতিপক্ষের গুলিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস-এমএন লারমা) দুই কর্মী নিহত হয়েছেন।
আজ বুধবার ভোরে উপজেলার বঙ্গলতলি ইউনিয়নের ভূইয়াছড়া এলাকায় দুজনের লাশ পাওয়া যায়।
এই হামলার জন্য ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টকে (ইউপিডিএফ) দায়ী করেছে জেএসএস। তবে ইউপিডিএফ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
নিহত দুজন হলেন যুদ্ধচন্দ্র চাকমা (২৮) ও নয়ন জ্যোতি চাকমা (২৪)। দুজনেরই বাড়ি বাঘাইছড়ি উপজেলার হাগলাছড়ি গ্রামে।
স্থানীয় কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার রাতে নিজ নিজ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে এই দুজনকে গুলি করে হত্যা করে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। সকালে ভূইয়াছড়ি এলাকায় তাঁদের লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা।
তবে ঘটনাটি নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছে জেএসএস, ইউপিডিএফ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
জেএসএস (এমএন লারমা) বাঘাইছড়ি উপজেলা কমিটির সভাপতি সুরেশ কান্তি চাকমা জানিয়েছেন, গতকাল দিবাগত রাত আনুমানিক ৩টার দিকে উপজেলার দুর্গম এলাকায় তাঁদের দুই কর্মীকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে ইউপিডিএফের সন্ত্রাসীরা। তিনি এই হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে ইউপিডিএফের মুখপাত্র বাবলু চাকমা এই ঘটনার সঙ্গে তাঁদের দলের কারো জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, জেএসএস (এমএন লারমার) সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক আন্তরিকতাপূর্ণ। দুই সংগঠনের মধ্যে কখনোই কোনো সমস্যা হয়নি। তৃতীয় কোনো পক্ষ ঘটনাটি ঘটিয়ে তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক নষ্ট করতে চাইছে।
বাবলু বলেন, জেএসএস ঠিক কী কারণে ইউপিডিএফকে দায়ী করছে, তা-ও বুঝতে পারছেন না তিনি।
বাবলু চাকমার দাবি, কোনো সশস্ত্র কর্মকাণ্ডের সঙ্গেই তাঁরা জড়িত নন।
অন্যদিকে রাঙামাটির পুলিশ সুপার (এসপি) সাঈদ তারিকুল হাসান জানান, দুটি পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় দুজন মারা গেছেন বলে তাঁরা জানতে পেরেছেন। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলের দিকে গেছে। তারা ফিরে না আসা পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না।