মেয়েদের টয়লেটে ছাত্রলীগকর্মী, বান্ধবীসহ ধরা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের টয়লেটে বান্ধবীসহ ধরা খেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এক কর্মী। আজ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে মেয়েদের টয়লেটে অপ্রীতিকর অবস্থায় বহিরাগত বান্ধবীসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাঁদের আটক করেন। পরে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আটক ছাত্রলীগকর্মীর নাম প্রীতম আরিফ। তিনি মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক ছাত্র ও ইতিহাস বিভাগের ৪৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বহিরাগত এক বান্ধবীকে নিয়ে ছাত্রলীগকর্মী আরিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের মেয়েদের টয়লেটে প্রবেশ করেন। বিষয়টি দেখতে পেয়ে কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থী তাঁদের আপত্তিকর অবস্থায় আটক করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় সহকারী প্রক্টর ও প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা এসে তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যান।
আরিফকে নিজেদের কর্মী দাবি করে মীর মশাররফ হোসেন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশফিক সরকার বলেন, ‘সে জুনিয়র কর্মী, এ জন্য তার সঙ্গে আমার সরাসরি পরিচয় নেই।’
আরিফ মেয়ে নিয়ে ধরা পড়েছে এমন কিছু জানেন কি না, প্রশ্নের জবাবে আশফিক সরকার বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে এখনো আমি কিছু জানি না।’
এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর সিকদার মো. জুলকার নাইন বলেন, ‘এটি একটি সাধারণ বিষয়। ছেলেটি তাঁর বহিরাগত গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে টয়লেটে প্রবেশ করেছে। আমরা তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। বিষয়টি মেয়ের অভিভাবককে জানানো হয়েছে।’
এর আগেও একই জায়গায় দর্শন বিভাগের ৩৯তম ব্যাচের এক ছাত্র মেয়েকে নিয়ে ছাত্রীদের টয়লেটে প্রবেশ করেন। ‘এক’ টয়লেটে ছেলেমেয়ে প্রবেশ করা দেখে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সন্দেহ হয়। পরে সেখান থেকে বের হলে মেয়েদের টয়লেটে কী করছিলেন এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি উত্তেজিত হয়ে নিজেকে ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন।