ভৌগোলিক অবস্থানের দিক থেকে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকার প্রধান বলেছেন, ‘ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে ট্রান্সপোর্ট ও ট্রান্সশিপমেন্ট কেন্দ্র হিসেবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে স্থলবন্দরসমূহ দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।’

আগামীকাল বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার (১৩ জুন) এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাণীতে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বন্দর ব্যবহারকারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। 

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে অভ্যন্তরীণ ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্পায়ন এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সর্বপ্রথম বেনাপোল শুল্ক চেকপোস্ট পরিদর্শন করেন। তার পরিদর্শনকালে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম আন্তদেশীয় নৌপরিবহণ ও বাণিজ্য প্রোটোকল স্বাক্ষরিত হয়, যা স্বাধীন দেশের বাণিজ্য ব্যবস্থায় নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত করে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের ভৌগোলিক অবস্থানের সুযোগ কাজে লাগিয়ে স্থলবন্দরসমূহ দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখছে। বিশেষ করে ভারত, নেপাল, ভুটান ও মিয়ানমারের সঙ্গে স্থলসীমান্ত পথে কম খরচে যাত্রী চলাচল এবং মালামাল পরিবহণের মাধ্যমে স্থলবাণিজ্য বিকশিত হচ্ছে। পাশাপাশি এসকল দেশের জনগণের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে।’

সরকার প্রধান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল ও ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের উন্নত দেশে পরিণত হতে হলে বাণিজ্য সম্প্রসারণ, সীমান্ত বাণিজ্য ও যোগাযোগ সহজীকরণে স্থলবন্দরসমূহকে দক্ষ ও স্মার্ট হতে হবে। বর্তমান সরকার অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার পাশাপাশি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-২০৩০ এবং ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ গ্রহণ করেছে।’