৭০৪ গরু নিয়ে জামালপুর থেকে ঢাকার পথে দুই ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন
ঈদুল আজহা উপলক্ষে জামালপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে তিনটি ‘ক্যাটল স্পেশাল’ ট্রেন চালু করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এসব ট্রেনে করে রাজধানীতে আনা হবে কোরবানির পশু। জেলার ইসলামপুর ও মেলান্দহ স্টেশন থেকে ছাড়বে এসব ট্রেন। ইতোমধ্যে ইসলামপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে আজ শনিবার (২৪ জুন) সন্ধ্যায় ৪০০ গরু নিয়ে ছেড়ে যায় প্রথম ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন। আর রাত ৯টার দিকে ৩০৪ গরু নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় আরেকটি ট্রেন।
ইসলামপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার শাহীন মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। শাহীন মিয়া বলেন, ‘অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর ক্যাটল স্পেশাল ট্রেনের ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। আজ সন্ধ্যায় একটি ট্রেন ছেড়ে গেছে। একইভাবে রাত ৯টার দিকে আরেকটি ট্রেন ছেড়ে যায়। আগামীকাল সন্ধ্যায়ও ৭টার দিকে একটি পশুবাহী ট্রেন ছেড়ে যাবে।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি ক্যাটল স্পেশাল ট্রেনে ২৬টি করে ওয়াগন থাকবে। এর মধ্যে ২৫টি ওয়াগনেরর প্রত্যেকটিতে ১৬টি করে গরু নিয়ে যাওয়া হবে। এ বছর ইসলামপুর থেকে ৬২টি ও মেলান্দহ স্টেশন থেকে ছয়টি ওয়াগন বুকিং করেছে গরু ব্যবসায়ীরা। প্রতিটি ওয়াগনের ভাড়া আট হাজার টাকা করে নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রথম ট্রেনের ২৫টি ওয়াগনে ১৬টি করে মোট ৪০০ গরু ছিল। এরপর রাত ৯টার দিকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনের ১৯টি ওয়াগনেরে ৩০৪টি যায়। ট্রেনটি মেলান্দহ স্টেশন থেমে, সেখান থেকে আরও ছয়টি ওয়াগনে ৯৬টি গরু নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে যাবে। আগের তুলনায় চাহিদা বেশি থাকায় চলতি বছর দুদিন এ সার্ভিস চালু থাকবে।
এদিকে, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের এই সেবায় খুশি গরু ব্যবসায়ীরা। এতে করে তাদের খরচ অনেক কমবে বলে জানিয়েছেন তারা। গরু ব্যবসায়ী আল আমিন মিয়া, ফারুক মিয়া, সুজন শেখসহ আরও কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘এ সেবাটি চালু থাকায় আমরা অনেক খুশি। আগে এক ট্রাক গরু ঢাকা নিয়ে গেলে খরচ হতো ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা। এখন মাত্র আট হাজার টাকায় ১৬টি গরু নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে।’
ইসলামপুর উপজেলার সিরাজাবাদ এলাকায় গরু ব্যবসায়ী মতিন মিয়া বলেন, ‘রাস্তাঘাট দিয়ে গরু নিয়ে গেলে অনেক জায়গায় চাঁদা দিতে হতো। রাস্তার ঝাঁকুনিতে গরুর অবস্থাও খুবই খারাপ হয়ে যেত। ট্রেনে গেলে তেমন কোনো ঝামেলা হয় না।’