প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্বেগ
জাতীয় সংসদে গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যে গণতন্ত্র মঞ্চ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আজ শুক্রবার (৭ জুলাই) গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সভার প্রস্তাবে এই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। তাদের দাবি, বিরোধী দল নয়, সরকার ও সরকারি দলই আর একটি পাতানো নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশকে অনাকাঙ্ক্ষিত সংঘাত-সংঘর্ষের পথে ঠেলে দিচ্ছে। এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন দূরের কথা, সরকার ও সরকারি দল ভোটের অধিকার হরণ করে দেশের গোটা নির্বাচনী ব্যবস্থাকেই ধ্বংস করে দিয়েছে।
সভায় বলা হয়, ‘কেবল আওয়ামী লীগই সুষ্ঠু নির্বাচন দেয়’ মর্মে সংসদে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা তথ্যভিত্তিক নয় ও গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ, সরকার ও সরকারী দল ২০১৪ ও পরবর্তীতে ২০১৮ সালে একতরফা জালিয়াতির নির্বাচনের মধ্য দিয়ে কেবল দেশ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেনি, তারা মানুষের ভোটাধিকারকে কেড়ে নিয়েছে।’
সভার প্রস্তাবে সরকারকে তালবাহানা না করে অবিলম্বে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে নির্বাচনকালীল অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠার রাস্তা খুলে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। একইসঙ্গে বিদ্যমান গণ-আন্দোলনকে আরও জোরদার করতে আন্দোলনরত সকল গণতান্ত্রিক শক্তি ও জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। সভায় আন্দোলনের যৌথ ঘোষণা ও গণতন্ত্র মঞ্চের আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়েও আলোচনা করা হয়।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সংহতি মিলনায়তনে গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ইমন প্রমুখ।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেএসডির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, নাগরিক ঐক্যেরর সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের মিডিয়া সমন্বয়ক হাসিবউদ্দিন হোসেন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা মহিবুল্লাহ বাহার প্রমুখ।
সভায় আগামীকাল শনিবার সংবাদ সম্মেলনে আরপিও নিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের বক্তব্য তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।