মোংলায় লাইবেরিয়ার জাহাজ আটকাদেশ, বাধা নেই কয়লা খালাসে
মোংলা বন্দরে অবস্থানরত রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লাবাহী বিদেশি জাহাজের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে মামলা থাকায় বন্দর ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। উচ্চ আদালত পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত জাহাজটি মোংলা বন্দরে আটকাবস্থায় থাকবে বলে ১২ জুলাই (বুধবার) জারি করা আদেশে বলা হয়েছে।
হাইকোর্ট থেকে পাঠানো আটকাদেশের জানা গেছে, ইন্দোনেশিয়া থেকে রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ৩১ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় মোংলা বন্দরের হাড়বাড়ীয়ার ১১ নম্বর অ্যাংকোরেজে ভিড়ে লাইব্রেরিয়ার পতাকাবাহী জাহাজ এম ভি পানাগিয়া কানালা। জাহাজটি মোংলা বন্দরে ভিড়ার আগের দিন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের এডমিরালিটি জুরিডিকশন জাহাজটিকে আটকাদেশ দেন। সেই সঙ্গে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষকে জাহাজটিকে এনওসি দিতে নিষেধাজ্ঞা দেন উচ্চ আদালত। বিদেশি জাহাজটির বিরুদ্ধে প্রায় তিন কোটি (২ কোটি ৯৯ লাখ ৪৫১.১৮২ টাকা) টাকার ক্ষতিপূরণ দাবিতে চায়নার সাংহাইয়ের সিসিএক্স শিপিং কোম্পান লিমিটেডের পক্ষে মো. আবুল হাসান গত ১২ জুলাই উচ্চ আদালতে মামলা করেন। এ মামলায় হাইকোর্টের বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরী বিদেশি ওই জাহাজটিকে আটকাদেশ দেন।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল গোলাম রাব্বানী মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলীর বরাবর এ আদেশ পাঠান। এ আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
আজ শুক্রবার বিকেলে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন আমিনুর রহমান লাইবেরিয়ার কয়লাবাহী জাহাজটি আটকাদেশের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ এম ভি পানাগিয়া কানালাকে আটকাদেশ দিয়েছেন। পরবর্তী আদেশ না আসা পর্যন্ত জাহাজটি যাতে মোংলা বন্দর ত্যাগ করতে না পারে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বন্দরের সংশ্লিষ্ট বিভাগ, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্টকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক লিমিটেডের খুলনার সহকারী ব্যবস্থাপক খন্দকার রিয়াজুল হক বলেন, উচ্চ আদালত জাহাজটির বিরুদ্ধে আটকাদেশ দিয়েছেন। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ আমাদের এর একটি কপি দিয়েছেন। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জাহাজটির কয়লা খালাস কাজ শেষ হবে। খালাস করা কয়লা রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। জাহাজ আটকের আদেশের সঙ্গে কয়লা খালাসের কাজে কোনো বাধা নেই বলেও জানান তিনি।