পদ্মায় নিখোঁজের পরদিন মিলল দুই শিশুর মরদেহ
রাজশাহীতে পদ্মা নদীতে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া দুই শিশুর মরদেহ মিলেছে। নিখোঁজের একদিন পর আজ শনিবার (২২ জুলাই) তাদের মরদেহ উদ্ধার হয়। এর মধ্যে দুপুর ২টার দিকে চারঘাট উপজেলার ইউসুফপুর থেকে ইশতিয়াক হোসেন সিয়ামের (১১) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর বিকেল ৪টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে ২০০ গজ দূরেই সজীব হোসেন সানজিদের (১২) মরদেহ পাওয়া যায়। পরে, ফায়ার সার্ভিস ওই দুজনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
ডুবে মারা যাওয়া সিয়াম মতিহার থানার চর সাতবাড়িয়া গ্রামের সুখচানের ছেলে। আর সানজিদ মহানগরীর চরশ্যামপুর এলাকার নেকবর আলীর ছেলে। তারা সম্পর্কে ফুপাতো ও মামাতো ভাই।
এর আগে, বোনের বিয়েতে এসে মতিহারের সাতবাড়িয়া ঘাটে গোসল করতে যায় ওই দুই শিশু। গতকাল বেলা ১১টার দিকে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে তারা দুজন নিখোঁজ হয়। এরপরেই তাদের খোঁজে নামে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি ইউনিট। আলো স্বল্পতায় সন্ধ্যা ৬টার দিকে অভিযান স্থগিত করা হয়। পরে, আজ শনিবার সকাল থেকে ফের উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স রাজশাহী সদর দপ্তরের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবদুর রউফ জানান, সিয়ামের মরদেহ শনিবার বেলা ২টার দিকে চারঘাটের ইউসুফপুর এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। এরপর বিকেল ৪টার দিকে ঘটনাস্থল অর্থাৎ যেখানে তারা দুজন ডুবে গিয়েছিল সেখান থেকে মাত্র ২০০ গজ দূরেই সানজিদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সিয়ামের মরদেহ তীব্র স্রোতে ভেসে গিয়েছিল। নদীতে তীব্র স্রোত ও বাতাসের কারণে উদ্ধার কাজে বেগ পেতে হয়েছে।
আবদুর রউফ বলেন, ‘মহানগরীর সাতবাড়িয়া এলাকার আশরাফুল ইসলামের মেয়ে আয়েশা খাতুনের বিয়ের অনুষ্ঠানে এসেছিল সিয়াম ও সানজিদ। বিয়ের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সবাই যখন বরযাত্রীদের আপ্যায়নের আয়োজনে ব্যস্ত তখন অন্যদের সঙ্গে সিয়াম ও সানজিদ পদ্মায় গোসল করতে যায়। গোসল শেষে বাকিরা উঠে এলেও সিয়াম ও সানজিদ ডুবে যায়। এর পর থেকে তারা নিখোঁজ ছিল।’
সানজিদের দাদী জোছনা বেগম বলেন, ‘বরযাত্রীদের জন্য রান্না করা হয়েছিল। তারা এসেছিলেন দুপুরে খাওয়ার ঠিক আগে। কিন্তু, দুই শিশু পদ্মা নদীতে ডুবে যাওয়ার খবর শুনে আর কেউ বিয়ে বাড়িতে দাঁড়াননি। সব বাদ দিয়ে কেবল বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে তারা চলে গেছে।’