১৬ দিনে সোয়া কোটি টাকা জরিমানা আদায় ডিএনসিসির
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মাসব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযান শুরু হয় গত ৮ জুলাই। এই অভিযানের আজ মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) ১৬তম দিন। এ সময়ে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১৮১ মামলায় এক কোটি ২৮ লাখ ১৮ হাজার ৫০০ টাকা। এর মধ্যে আজ সাত মামলায় মোট দুই লাখ ২১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অঞ্চল-৫ এর আওতাধীন মোহাম্মদপুর তাজমহল রোড এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বির আহমেদ এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাসির উদ্দিন মাহমুদ এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ মশকনিধন অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযানে দু’টি ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় দুই মামলায় ৭০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে জনগণকে সচেতন করা হয় ও সংশ্লিষ্ট সবাই প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়।
অঞ্চল-৩ এর আওতাধীন তেজগাঁও শিল্প এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলকার নায়ন অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনাকালে বাসাবাড়ি, বাণিজ্যিক ভবন ও নির্মানাধীন ভবনে, ফাঁকা প্লটে মশকবিরোধী অভিযানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় চারটি ভবনের মালিককে চার মামলায় ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ ছাড়া অঞ্চল-৪ এর আওতাধীন ১০ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত লালকুঠি ও তৃতীয় কলোনি এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবেদ আলী অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে প্রায় ৬৫টি বাসাবাড়ি, ভবন, রেস্টুরেন্ট ও দোকানপাট পরিদর্শন করা হয়েছে। একটি দোকানে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। লার্ভা ধ্বংস করা হয়েছে।
অঞ্চল-২ এর আওতাধীন মিরপুর সেকশন ৭ এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে একটি নির্মাণাধীন ভবনে লার্ভা পাওয়ায় একটি মামলায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এসময় ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম শফিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া ডিএনসিসির সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে লিফলেট বিতরণ করে এবং মাইকিং করে জনসাধারণকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতন করেন। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আলোচনা করা হয়। বাংলাদেশ স্কাউট ও বিএনসিসির সদস্যরাও ডিএনসিসির কর্মীদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করেন।