ঝিনাইদহে আজাদ হত্যা মামলায় তিন জনের যাবজ্জীবন
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/08/09/jhenaidah_09_08_23_news_01_pic_01.jpg)
ঝিনাইদহে আলম সাধুচালক আজাদ হত্যা মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঝিনাইদহের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. নাজিমুদ্দৌলা আজ বুধবার (৯ আগস্ট) দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিতরা হলেন ঝিনাইদহের মহিষাডাঙ্গা গ্রামের টোকন, দোগাছী গ্রামের তাহিদ হোসেন এবং বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মো. শুকুর আলী। তবে শুকুর আলী পলাতক রয়েছেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ছাড়াও দণ্ডিতদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও একবছর করে কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে আদালত উল্লেখ করেন, নিহত আজাদ হোসেন ২০১৩ সালে ২৮ জুন প্রতিদিনের মতো ইঞ্জিনচালিত আলমসাধু নিয়ে বের হয়। এরপর আজ খোঁজ মেলেনি তার। ২০১৩ সালের ৫ জুলাই ঝিনাইদহ-মাগুরা মহাসড়কের পোড়াহাটি এলাকা থেকে আজাদ হোসেনের জবাই করা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করেন নিহত আজাদের বাবা মো. মকর আলী মণ্ডল। পরবর্তী সময়ে মোবাইলফোন ট্র্যাকিং করে যশোর শহরের মণিহার সিনেমা হলের সামনে থেকে আজাদের আলমসাধুসহ দণ্ডিত আসামি শুকুর আলীকে আটক করা হয়। সে (শুকুর আলী) আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। ওই জবানবন্দির সূত্র ধরে হত্যার বিশদ বর্ণনা এবং ঘটনার সাথে জড়িত আরও দুজনের নাম প্রকাশ হয়ে পড়ে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঝিনাইদহ সদর থানার এসআই মো. এমদাদুল হক ২০১৪ সালের ১৫ জানুয়ারি আসামিদের (দণ্ডিত) বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন।
দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলায় ১৮ জন সাক্ষী উপস্থাপন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি অ্যাডভোকেট মো. ইসমাইল হোসেন বাদশা। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল খালেক সাগর ও স্টেট ডিফেন্স কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট মো. রবিউল ইসলাম।