জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার না হলে দেশ কলঙ্কমুক্ত হবে না : শেখ পরশ

আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, ‘দেশের মানুষের প্রত্যাশা, জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার না হলে বাংলাদেশ প্রকৃতপক্ষে কলঙ্কমুক্ত হবে না।’ বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে আয়োজিত বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি প্রদানপূর্ব সমাবেশে এ কথা বলেন শেখ পরশ।
১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী, খুনি জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার, ’৭৫-এর পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর, ২১ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড পলাতক আসামি তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর এবং কানাডার ফেডারেল কোর্টে সন্ত্রাসী সংগঠনের আখ্যা পাওয়া বিএনপির রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবিতে যুবলীগ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে এই স্মারকলিপি প্রদান করে।
শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, ‘৭৫ পরর্তী সময়ে বিএনপি বাংলাদেশের জনগণের ওপর যেভাবে অত্যাচার, নির্যাতন, হত্যা, রাহাজানি ও সন্ত্রাস চালিয়েছে তাতে আমরা নৈতিকভাবে মনে করি বিএনপি-জামায়াতের বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার নাই। এ কারণেই আমরা বাংলাদেশের যুবসমাজের পক্ষ থেকে, মুক্তিযুদ্ধে চেতনায় বিশ্বাসী, প্রগতিশীল মানুষের পক্ষ থেকে জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার চাই।’
যুবলীগের চেয়ারম্যান বলেন, ‘যারা বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল, একটি উন্নত-মর্যাদাশীল সমাজ ব্যবস্থা নির্মাণের লক্ষ্যে সংগ্রাম করে যাচ্ছে, সেসব মানুষের প্রত্যাশা জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার না হলে বাংলাদেশ প্রকৃতপক্ষে কলঙ্কমুক্ত হবে না। তাই আজকে জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার সময়ের দাবি, ন্যায্য দাবি।’
সমাবেশ শেষে আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নেতৃত্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশন বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হয়।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য রফিকুল ইসলাম ও নবী নেওয়াজ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মাজহারুল ইসলাম ও সাইফুর রহমান সোহাগ, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল ও দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানাসহ আরও অনেকে।