সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেদোয়ানের তিন বছরের কারাদণ্ড
৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ড. রেদোয়ান আহমেদের তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার (১৪ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ-২-এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
বিচারক রায়ে রেদোয়ান আহমেদকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানাও করেছেন। অপরদিকে বিচারক মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মহাসচিব শাহ আলম চৌধুরীকে খালাস দেন। মামলায় ১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময় ১০ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।
দুদকের আইনজীবী মীর আহম্মেদ সালাম বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
রেদোয়ান আহমেদ বর্তমানে অলি আহমদ নেতৃত্বাধীন এলডিপির মহাসচিবের পদে রয়েছেন। তবে, তিনি বর্তমানে পলাতক। বিচারক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাসহ সাজা পরোয়ানা জারি করেছেন।
নথি থেকে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ হাট-বাজার থেকে প্রতি বছর যে টাকা মন্ত্রণালয় পায় তার চার ভাগ টাকা দুস্থ ও বেকার মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তার জন্য মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলকে দেওয়া হয়। যার পরিমাণ প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। এই টাকা জমা রাখার জন্য সোনালী ব্যাংক মগবাজার শাখায় একটি হিসাব রয়েছে।
পরবর্তীতে, ২০০২ সালে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন প্রতিমন্ত্রী ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান রেদোয়ান আহমেদ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অর্থসচিব শাহ আলম এই অর্থের জিম্মাদার হিসেবে বহাল থাকা অবস্থায় ওই হিসাব থেকে ৫০ লাখ টাকা তুলে আত্মসাৎ করেন বলে ২০০৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল ইসলাম রমনা থানায় মামলাটি করেন।
পরে ২০০৭ সালের ৮ অক্টোবর দুদকের সহকারী পরিচালক মোহা. আবুল হোসেন আসামি রেদোয়ান ও শাহ আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।