রাবিতে পছন্দের বিড়ালের খোঁজে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা
প্রায় ১৩ দিন ধরে নিখোঁজ একটি পোষা বিড়াল৷ নাম তার ‘সন্দেশ’। পছন্দের বিড়ালটির সন্ধানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার সাঁটিয়েছেন এক ছাত্রী। সন্ধানদাতার জন্য ১০ হাজার টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করেছেন তিনি। যোগাযোগের জন্য নিজের ফোন নম্বরটি যুক্ত করেছেন বিজ্ঞপ্তিতে।
অন্যদিকে সঙ্গীর খোঁজ না পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছে একইসঙ্গে জন্ম নেওয়া বিড়াল 'রসকদম্ব'। সন্দেশ'র শোকে খাওয়া-দাওয়া বাদ দিয়ে 'রসকদম্ব' রোজ কান্নাকাটি করছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। তবে অনেকে বিড়াল ছানার সন্ধান পাওয়ার কথা জানিয়েছেন, কিন্তু সেই বিড়ালগুলোর মাঝে নেই হারিয়ে যাওয়া বিড়াল৷ এ যেন ঠিক 'কাঠুরে ও জলপরী' গল্পের মতো৷
প্রায় ছয় মাস ধরে বিড়াল ছানাগুলো লালন-পালন করছেন মোছা. তানিয়া খাতুন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলাম শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের আবাসিক ছাত্রী।
বিড়াল ছানার চারটি ছবি দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিমপাড়া (ছাত্রী হল) থেকে বিড়াল ছানাটি নিখোঁজ হয়েছে। ছানাটির নাম সন্দেশ। গায়ের রঙ সম্পূর্ণ সাদা, লেজ সম্পূর্ণ বাদামী এবং মাথায় সামান্য বাদামী। ছানাটি হারানোর পর থেকে ওর সঙ্গী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। খাওয়া বন্ধ করে সারাক্ষণ কান্নাকাটি করছে। ক্যাম্পাস বা হল এলাকাতে যদি কোনো ব্যক্তি বিড়াল ছানাটিকে দেখে থাকেন তাহলে অনুগ্রহ করে জানাবেন। যদি কেউ শখ করে পুষতে নিয়ে থাকেন, দয়া করে আরেকটি বাচ্চার কষ্টটা অনুভব করে হলেও তাকে দিয়ে দিন । বাচ্চাটা খুব কষ্ট পাচ্ছে একা একা।'
বিজ্ঞপ্তির শেষে বোল্ড করে লিখেছেন 'সন্ধানদাতাকে কৃতজ্ঞতাস্বরূপ ১০ হাজার টাকা পুরস্কার প্রদান করা হবে'।
তানিয়া খাতুন বলেন, ‘মেসে থাকার সময় সেখানে একটি বিড়ালের তিনটি বাচ্চা জন্ম নেয়। পরে একটি মারা যায়। এমন সময় ক্যাম্পাস ছুটি হয়ে যায়। আমার পরীক্ষা থাকায় আমি মেসেই থেকে যাই। তখন থেকে বিড়াল ছানাদুটিকে নিজের সন্তানের মত আমি লালন করি। পরে হলে উঠলে সেখানে ছানা দুটিকেও নিয়ে আসি।’
তানিয়া খাতুন বলেন, ‘গত ৭ আগস্ট সেখান থেকে 'সন্দেশ' হারিয়ে যায়। তার শোকে বাকি ছানাটিও খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। আমিও অনেক খোঁজাখুঁজি করছি। কিন্তু কোথাও খুঁজে পাইনি। পরে আমি বাধ্য হয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছি। অনেক খোঁজও এসেছিল কিন্তু সেই বিড়ালগুলো আমার হারিয়ে যাওয়া 'সন্দেশ' নয়।
পুরস্কার ঘোষণার বিষয়ে এ বিড়ালপ্রেমী বলেন, 'বিড়াল ছানা দুটিকে আমি নিজের সন্তানের মত লালন পালন করেছি। তাকে ফিরে পেতে শুধু ১০ হাজার টাকা কেন, তার চেয়েও বেশি টাকা দিতে রাজি আছি৷'