চোরাই ছয় ভরি স্বর্ণালংকারসহ গ্রেপ্তার ৩
চাঁদপুরে চুরি যাওয়া আট ভরি স্বর্ণালংকার মধ্যে ছয় ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় তিন চোরকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ রোববার (২৭ আগস্ট) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে গ্রেপ্তারকৃতদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গতকাল দিনগত রাতে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিরা হলেন শাহরাস্তি উপজেলার ইমন গাজী, শহরের নিউ ট্রাকরোড এলাকার হুমায়ন কবির বাবু ও রহমতপুর কলোনির আল আমিন মাল।
গতগতাল শনিবার ভুক্তভোগী ফরিদ আহমেদ খান শিপন বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে একটি চুরির মামলা করেন। মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান নতুন বাজার পুলিশ ফাঁড়ির উপরিদর্শক (এসআই) মো. রাকিবুল ইসলাম।
চুরি হওয়া মালামালের মধ্যে ছিল স্বর্ণের লকেট একটি, চুড়ি একটি, চেইন দুটি, এক জোড়া কানের দুল, একটি আংটি, এক জোড়া কানের রিং একটি মুক্তাসহ টিকলি, একটি হার ওজন, এক জোড়া কানের দুল, একটি আংটি, দুটি চেইন, তিনটি আংটি যার মূল্য আট লাখ টাকা এবং নগদ ২০ হাজার টাকা।
পুলিশ ও মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, ব্যবসায়িক কাজে গত ৩ আগস্ট ফরিদ আহমেদ খান শিপন ঢাকা যান। গত ৭ আগস্ট সকালে পাশের ভাড়াটিয়া তাহমিনা বেগম দরজার লক ভাঙা ও দরজা খোলা দেখতে পেয়ে বিষয়টি ভুক্তোভোগী শিপনকে জানান। পরে তিনি জরুরি ফোন পেয়ে চাঁদপুর চলে আসেন। চোরেরা আট ভরি স্বর্ণালংকারসহ নগদ ২০ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. রাকিবুল ইসলাম জানান, চোরাই স্বর্ণালংকার উদ্ধারে অজ্ঞাত পরিচয় আসামিদের নামে মামলাটির পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াসির আরাফাতের সার্বিক তত্ত্বাবধানে, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ মুহসীন আলমের নির্দেশে ও নতুন বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ওলি উল্লাহর নেতৃত্বে মাঠে নামে পুলিশ। তথ্যপ্রযুক্তি ও বিভিন্ন মাধ্যমে প্রথমে মূল হোতা ইমন গাজীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁর দেওয়া তথ্য মতে বাবু ও আল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর বাবুর বাড়িতে লুকিয়ে রাখা ছয় ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়। আর নগদ টাকা তাঁরা খরচ ফেলেছেন বলে পুলিশকে জানান।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মো. শেখ মুহসীন আলম জানান, আজ আদালতের মাধ্যমে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।