খালেদা জিয়াসহ আট জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ ১৭ সেপ্টেম্বর
নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ আট জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৭ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার (১২ সেপ্টম্বর) এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম দ্বিতীয় দিনের মতো সাক্ষ্য দেন।
এসময় কেরাণীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে নির্মিত ২ নম্বর ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমান সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। এরপর তাকে জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। এদিন জেরা শেষ না হওয়ায় অবশিষ্ট জেরা ও সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন আদালত।
এদিন খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবীরা হাজিরা দেন। এছাড়া আসামি সেলিম ভূঁইয়া, খন্দকার শহীদুল ইসলাম ও সি এম ইউছুফ হোসাইন আদালতে হাজির ছিলেন। ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তাছাড়া আসামি কাশেম শরীফ, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মীর ময়নুল হক পলাতক রয়েছেন। খালেদা জিয়ার আরেক আইনজীবী আব্দুল হান্নান ভূইয়া এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গত ১৯ মার্চ এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ আট জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক (বর্তমানে উপ-পরিচালক) মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন। ২০০৮ সালের ৫ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক (বর্তমানে উপ-পরিচালক) এস এম সাহিদুর রহমান তদন্ত শেষে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে ক্ষমতায় থাকাকালে খালেদা জিয়াসহ বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ক্ষমতার অপব্যবহার করে কানাডার কোম্পানিটিকে অবৈধভাবে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের সুবিধা পাইয়ে দেন। অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।