রাজধানীতে গৃহবধূর আত্মহত্যার অভিযোগ
রাজধানীর তেজগাঁওয়ের কাজীপাড়ায় বর্ষা খাতুন (১৯) নামের এক গৃহবধূকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। পরে, অচেতন অবস্থায় থাকা এই নারীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) নেওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন দায়িত্বরত চিকিৎসক। শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে।
আজ রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেকের মর্গে রাখা হয়েছে। মৃতের বোনের অভিযোগের কারণে তার স্বামীকে আটক করা হয়েছে।’
নিহত বর্ষা গাজীপুর সদরের কাশিমপুর বারান্ডা এলাকার মো. দুলাল ফকিরের মেয়ে। বসুন্ধরা শপিংমলের পেছনের একটি বাসায় স্বামী কাজলের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি।
মৃত গৃহবধূর স্বামীর দাবি, তুচ্ছ ঘটনায় আত্মহত্যা করেছেন বর্ষা। আর মৃতের বোনের অভিযোগ, তার বোনকে হত্যা করা হয়েছে।
কাজল মিয়া ঢামেকে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা স্বামী-স্ত্রী দুজনেই বসুন্ধরা শপিংমলে কাজ করি। আমি একটি দোকানে কাজ করি, আর আমার স্ত্রী বসুন্ধরা শপিংমলের নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ করত। পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আমি আমার স্ত্রীকে বাসায় রেখে আমার কর্মস্থলে চলে আসি। পরে, বাসায় ফিরে ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পাই। দরজা ভেঙে রুমে গিয়ে দেখি আমার স্ত্রী গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছে। তাকে নামিয়ে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’
বর্ষার বড় বোন শান্তা বেগম অভিযোগ করে গণমাধ্যমে বলেন, ‘আমার বোন কিছুতেই আত্মহত্যা করতে পারে না। বিয়ের পর থেকে নানা বিষয় নিয়ে তাকে মারধর করা হতো। তাকে হত্যা করে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।’