১৫ বছরে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে দেশ : পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেছেন, ২০৩২ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির দেশ হবে। আজ বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ভূমিকা’ শীর্ষক একটি কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘১৫ বছরে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এমনকি পরিবেশগতভাবে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গত ১৫ বছরে আমরা অনেক কিছু করেছি। আমাদের স্বাক্ষরতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫ শতাংশ, যেখানে পাকিস্তানের ৬৬ শতাংশ। এখন মানুষের সম্ভাব্য আয়ুষ্কাল ৭৪ বছর এবং এটা দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ। গত ১৫ বছরে অর্থনীতির বড়ধরনের রূপান্তর হয়েছে। ২০৩১ সালের মধ্যে আমরা বাংলাদেশকে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে রুপান্তর করব। ওই সময় আমাদের মাথাপিছু আয় হবে পাঁচ হাজার ৫০০ ডলারেরও বেশি। ২০৩২ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির দেশ হবে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা স্মার্ট ও উন্নত দেশে পরিণত হব।’
ড. শামসুল আলম বলেন, ‘গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এমনকি পরিবেশগতভাবে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। প্রধানমন্ত্রী ২০০৯ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ও ভিশন ২০২১ গ্রহণ করেছিলেন। তিনি সেটা সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে পেরেছেন। আমাদের ভালো পরিকল্পনা ছিল। সেটার যথাযথ বাস্তবায়ন বাংলাদেশকে মাথাপিছু আয়ে দক্ষিণ এশিয়া এক নম্বরে নিয়ে গেছে এবং আমরা দেশকে সামাজিকভাবে অগ্রসর করতে পেরেছি।’
সম্মেলনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব শুরুতে আমাদের কাছে একটি কথার কথা হিসেবে এলেও বাস্তবক্ষেত্রে এটি আজ চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়িয়েছে। সরকারের গৃহিত বিভিন্ন পদক্ষেপ বিশেষ করে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন, নিরন্তর গবেষণা ও উদ্ভাবন, প্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহকে উচ্চশিক্ষায় সংযোজন ইত্যাদির মাধ্যমে সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের অংশগ্রহণ দৃশ্যমান হয়েছে। এর ফলে ব্যবসায় উদ্যোগ বা স্টার্টআপের মাধ্যমে কয়েক লক্ষ মানুষ দেশের জন্য মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে, নিরবিচ্ছিন্ন ও সস্তা বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা আজ বাস্তবের মুখোমুখি হয়েছে।
কনফারেন্স আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. শাহেদ জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সম্মেলনের সহআহ্বায়ক পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক এম. ছায়েদুর রহমান। পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বক্তব্য দেন রাবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম ও উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক হুমায়ুন কবির। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক মো. সাবিরুজ্জামান ও ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক তারান্নুম নাজের সঞ্চালনায়।